শবরীমালা মন্দির: আজও ঢুকতে পারলেন না মহিলারা

ফের অশান্ত শবরীমালা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শবরীমালা মন্দির চত্বরের প্রায় ৫০০ মিটার দূর থেকেই ফিরে আসতে হল দুই সাহসী মহিলাকে। প্রথম জন হায়দ্রাবাদের সাংবাদিক কবিতা জক্কল। অন্য জন কোটির বাসিন্দা রেহানা ফাতিমা।

প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ ব্যাপক পুলিশি প্রহরা নিয়ে তাঁরা মন্দিরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, গোল্ডেন সিঁড়ি থেকে ১৮ ধাপ আগে অর্থাৎ প্রায় ৫০০ মিটার আগেই তাদের থেমে যেতে হয়। কারণ, মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মূল গেট এবং পুজো বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন পুলিশকে।

শুক্রবার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং মাথায় হেলমেট পরে ওই দু’জন বিপুল পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে মন্দিরে যাওয়া শুরু করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। প্রধান পুরোহিতের বার্তা পুলিশের মাধ্যমে তাঁদের কাছে পৌঁছতেই দু’জনেই নেমে আসতে সম্মত হন। শবরীমালার প্রধান পুরোহিত কন্দরার রাজিভরু পুলিশকে বলেন, ‘‘কেউ জোর করে ঢোকার চেষ্টা করলে আমরা মন্দির বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ভক্তদের পাশে দাঁড়িয়ে আছি। আমার হাতে আর কোনও বিকল্প নেই।’’ পুলিশের কাছে এই বার্তা শুনে ওই দু’জন ফিরে আসতে রাজি হন।

সব বয়সি মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে লাগাতার। শবরীমালা মন্দিরের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, সব বয়সের মহিলারা শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। ওই রায়ের পর প্রথম বার বুধবার মন্দির খোলা হয়। কিন্তু, বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে কোনও মহিলা মন্দিরে ঢুকতে পারেননি।

বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক সাংবাদিক সুহাসিনী রাজ এবং তাঁর এক মহিলা সহকর্মী শবরীমালা পাহাড়ে চড়তে শুরু করেছিলেন। মন্দির থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে তাঁরা আটকে যান।

সব বয়সি মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে লাগাতার। শবরীমালা মন্দিরের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, সব বয়সের মহিলারা শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। ওই রায়ের পর প্রথম বার বুধবার মন্দির খোলা হয়। কিন্তু, বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে কোনও মহিলা মন্দিরে ঢুকতে পারেননি।