ঋষিগঙ্গা নদী থেকে তৈরি হওয়া লেক ঘিরে আতঙ্ক বাড়ছে নতুন করে বন্যার

ঋষিগঙ্গা নদী

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ঋষিগঙ্গা নদী থেকে তৈরি হওয়া লেক যে কোনও সময় ভেঙে নতুন করে বন্য পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় আগের ধ্বংসের উদ্ধারকাজ এখনও শেষ না হওয়ায় তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। গত রবিবার উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় বিরাট তুষারধসে বিপুল ক্ষতি হয়েছে রাজ্যের। এখনও নিখোঁজ প্রায় ২০০ জন। উদ্ধারকাজ চলছে। ধ্বংসের পরিমান এতটাই বেশি এবং পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে তাতেও তৈরি হচ্ছে নানা রকমের বাধা। তার মধ্যে নতুন করে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করেছে এই লেক।

তুষারধস নেমে সরাসরি পড়েছিল ঋষিগঙ্গা নদীতে। তার ফলেই তৈরি হয়েছিল জলোচ্ছ্বাস। আর সেই জলে গতিতে নেমে গিয়েছিল ভ্যালিতে। তার রাস্তায় যা যা পড়েছিল সব ধ্বংস করে দিয়েছিল জলের গতি। তার মধ্যে ছিল ঋষিগঙ্গা পাওয়ার প্রজেক্টও। তবে এখানেই শেষ নয়। এই তুষার ধসের ফলে ঋষিগঙ্কা নদীর এক প্রান্তের গতিপথ বন্ধ হয়ে গিয়ে তৈরি হয়েছে একটি লেক।

সেই লেকের গভীরতা, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ কত বড় তা নিয়ে এখনই ধারণা করা যাচ্ছে না। কারণ তার কাছাকাছি পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। গারোয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াইপি সুন্দরীলাল এনডিটিভিকে দেওয়া এক রিপোর্টে জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের সাহায্য নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছিলেন। এবং সেখানে পৌঁছে তিনি যা দেখেছেন তাতে তিনি আতঙ্কিত।

তিনি বলেন, ‘‘ঋষিগঙ্গা নদীর উত্তরপূর্ব পাশের ধারার দিকে আমি রয়েছি। এই দিক থেকেই শুরু হল বন্যা। ভূমিধসের ফলে সাময়িকভাবে ঋষিগঙ্গা নদীর রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’ আর তার ফলেই তৈরি হয়েছে এই লেক। আর যে কোনও সময় এই লেক ভেঙে আরও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

তিনি জানান, তেমন হলে উদ্ধারকার্যের উপর প্রভাব পড়বে। যা নিচে অংশে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে তাঁদের বিপদ দেখছেন তিনি। এবং তিনি সংবাদ মাধ্যমের সাহায্যে বিষয়টি প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

তিনি এও জানিয়েছেন, এই লেকে ফেটে গেলে কতটা ক্ষতি করতে পারে তার ধারণা বিশেষজ্ঞদের পক্ষেও করা কঠিন। বৃহস্পতিবার হঠাৎই ধৌলীগঙ্গা নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। আর সেই আশঙ্কাই দেখছেন তিনি এই লেককে ঘিরে।

ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গিয়েছে। পাওয়ার প্রজেক্টের যে টানেলের ভিতরে ৩৫ জনের আটকে থাকার কথা বলা হচ্ছে তাতে এখনও সাফল্য আসেনি দিন-রাত এক করেও। বন্যার ফলে টানেলের ভিতর কাদামাটিতে ভরে গিয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মুখ। সেই মুখ খোলা সম্ভব হলেও এখনও কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

(আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)