দেশের দু’প্রান্তে দুটো শ্লীলতাহানির ঘটনা নাড়িয়ে দিল গোটা দেশকে, মেয়েরা কি আদৌ নিরাপদ?

শ্লীলতাহানির ঘটনাশ্লীলতাহানির ঘটনা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দেশের দু-প্রান্তে দুটো শ্লীলতাহানির ঘটনা, আবারও চিন্তায় মেয়েদের নিরাপত্তা। পড়াশোনা করার জন্য ঘর থেকে বেরনো যাবে না। বন্ধুর সঙ্গে রাস্তায় হাঁটা যাবে না। ঘর থেকে বেরলেই যে হানা দেবে লোলুপ মানুষগুলো। তা হলে কোথায় যাবে মেয়েরা? এই প্রশ্ন বার বার উঠেছে। জবাবে আসেনি। বন্ধ হয়নি মেয়েদের উপর অত্যাচারও।

হরিয়ানার এই মেয়েটি সিবিএসই-তে টপার হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত থেকে সম্মানিতও হয়েছিলেন। আরও ভাল করে পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাড়ানোর স্বপ্নটা তো ছিলই কিন্তু মোদীর হাত থেকে নেওয়া সম্মানের পর যেন সেটা আরও জাঁকিয়ে বসেছিল। দ্বিতীয় বর্ষের ১৯ বছরের ছাত্রীটি কোচিং ক্লাসেই যাচ্ছিলেন। সেই পথেই তুলে নেওয়া হয় গাড়িতে। নিয়ে যাওয়া হয় একটি ফাঁকা মাঠে। সেই গাড়িতে ছিল তিনজন। সেখানেই তাঁকে রেপ করা হয়।

আরও ভয়ঙ্কর দিক হল, ভরা দিনের আলোয় সেই রেপে বাধা না দিয়ে সেখানে উপস্থিত অন্য লোকেরাও ঝাঁপিয়ে পড়েন সেই মেয়ের উপর। একরাশ স্বপ্ন নিয়ে যে মেয়েটা রোজ রাস্তায় বেরতো তাঁকে রেপ করে একডজন পুরুষ। সে কী আর কাটিয়ে উঠতে পারবেন এই ভয়ঙ্কর অত্যাচারের স্মৃতি? এর পর সেই মেয়েকে ফেলে যাওয়া হয় সেই বাস ডিপোতে যেখান থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।

গৌতম গম্ভীর আপনার এই বেশ মানতে পারলাম না, এটা কোনও সমর্থন হতে পারে না

তাঁর পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি বলে দাবি পুলিশের। যদিও মেয়েটির মা দাবি করেছেন পুলিশ তাদের কোনও সাহায্য করেনি। এফআইআরও নিতে চায়নি পুলিশ। তাঁর মা বলেন, ‘‘আমার মেয়েকে মোদীজি পুরস্কার দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, মেয়েকে পড়াও, মেয়েকে বাঁচাও। আমার মেয়ে সিবিএসই-তে সেরা হয়েছিল। আমার ন্যায় চাই।’’ সত্যি কি এর পর ন্যায় পাওয়া যায়?

জানা গিয়েছে একই গ্রামে থাকত অভিযুক্ত তিন জন। কিন্তু তাদের এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। তত ক্ষণ সেই মেয়ের উপর অত্যাচার চালানো হয় যতক্ষণ না তিনি জ্ঞ্যান হারান। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এমএল খট্টর জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা শাস্তি পাবে।

যখন হরিয়ানা তোলপাড় এই অত্যাচার নিয়ে তখন ছত্তিশগড়ের কোরবা জেলায় প্রেমিকের সামনে গ্যাং রেপ করা হল তাঁর মাইনর প্রেমিকাকে। যা মেনে নিতে পারেনি ২১ বছরের সাভন সাই। আত্মহত্যা করেন তিনি। তাঁর আত্মহত্যার তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায় তাঁর কারন। গত ১ সেপ্টেম্বর ১৭ বছরের প্রেমিকার সঙ্গে স্কুলের সামনেই দেখা হয়েছিল সাইয়ের। তখন সন্ধে হয়ে এসেছে। সেখানেই দু’জন ঈশ্বর দাস (২২) ও খেম কানোয়ার (২১) নামে দু’জন সাইয়ের সামনেই তাঁর প্রেমিকাকে রেপ করে এবং সেখানেই ফেলে রেখে চলে যায়। দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রেমিকার অভিযোগের ভিত্তিতে।