পাক সীমান্তে যুদ্ধ বিরতি আর নয়, নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় কাজ করার নির্দেশ দিল কেন্দ্র

শহীদ সেনাবাহিনীর মেজর

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পাক সীমান্তে যুদ্ধ বিরতি চলছিল এত দিন। রমজান মাস বলেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু সেই যুদ্ধবিরতি চলাকালীনই উপত্যকায় একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সে সব মাথায রেখেই ইদের পরের দিনই যুদ্ধবিরতির সেই সিদ্ধান্তকে আর বাড়ানো হবে না বলেই জানিয়ে দিল মন্ত্রক।

রবিবার সকালে একের পর এক টুইট বার্তায় বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তিনি জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা ঠেকাতে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীগুলিকে প্রয়োজনীয ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি চলাকালীন খাস রাজধানী শ্রীনগরেই খুন হয়েছেন খ্যাতনামা সাংবাদিক সুজাত বুখারি। ওই খুনের পিছনে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার হাত রয়েছে বলেই গোযেন্দারা জানিযেছেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি ইফতারে অংশ নিতে শ্রীনগরের প্রেস কলোনির অফিস থেকে বেরিয়েছিলেন। সেই সময তিনি যখন গাড়িতে উঠছিলেন, তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুটে আসে। ঘটনাস্থলেই মারা গিযেছিলেন সুজাত। তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করার আগেই গুলিবিদ্ধ হন তাঁর দুই নিরাপত্তারক্ষীও।

একা সুজাত বা তাঁর নিরাপত্তারক্ষারীই নন, গত এক মাসে, অর্থাত্ রমজানের মাসে উপত্যকা জুড়ে একের পর এক জঙ্গি হামলা হয়েছে। পাকিস্থান থেকে উড়ে আসা গুলিতে মারা গিযেছেন একাধিক সেনা কর্মী।

একা সুজাত বা তাঁর নিরাপত্তারক্ষারীই নন, গত এক মাসে, অর্থাত্ রমজানের মাসে উপত্যকা জুড়ে একের পর এক জঙ্গি হামলা হয়েছে। পাকিস্থান থেকে উড়ে আসা গুলিতে মারা গিযেছেন একাধিক সেনা কর্মী। সুজাত খুন হওয়ার দিনেই অওরঙ্গজেব নামে এক সেনা জওয়ানকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। পুলওয়ামা থেকে হিজবুল জঙ্গিরা তাঁকে অপহরণ করে বলে গোয়েন্দারা জানিযেছিলেন। পরে গুলিতে ঝাঁঝরা দেহ উদ্ধার হয অওরঙ্গজেবের।

সুজাত বুখারি আততায়ীর গুলিতে ঝাঁঝরা, সাংবাদিক খুনের নিন্দায় সরব দেশ-দুনিয়া

এই সব ঘটনাকে মাথায় রেখেই ইদের পর দিনই রাজনাথ এমন সিদ্ধান্ত। টুইটারে তিনি লিখেছেন, রমজানের মাসে আমাদের সেনা কর্মীরা যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছেন। সকলেই তাতে সহযোগিতা করেছেন। কোথাও কোনও অশান্তির পরিবেশ তৈরি হতে দেননি। কিন্তু, জঙ্গিরা সে সবে পাত্তা না দিয়ে একের পর এক হামলা চালিয়ে গিয়েছে। রক্ত ঝরেছে উপত্যকায়। প্রাণ গিয়েছে। তাই ইদ শেষে নির্দেশ দেওয়া হল, পরিস্থিতি সামলাতে জঙ্গি হামলা ঠেকাতে সব রকমের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে নিরাপত্তা বাহিনী।

সুজাত খুন হওয়ার দিনেই অওরঙ্গজেব নামে এক সেনা জওয়ানকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। পুলওয়ামা থেকে হিজবুল জঙ্গিরা তাঁকে অপহরণ করে বলে গোয়েন্দারা জানিযেছিলেন। পরে গুলিতে ঝাঁঝরা দেহ উদ্ধার হয অওরঙ্গজেবের।