রাজীব গান্ধীর খুনিদের ছাড়া কখনওই সম্ভব নয়, জানিয়ে দিল কেন্দ্র

Rajiv Gandhi Death Anniversary

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রাজীব গান্ধীর খুনিদের কোনও ভাবেই ছাড়া যাবে না, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তামিলনাড়ুর জেলে গত ২৭ বছর ধরে বন্দি রয়েছে রাজীব গান্ধীর খুনের মামলায় জড়িত সাত জন। গত ২০১৬তে তামিলনাড়ু সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল যাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। অ্যাপেক্স আদালত কেন্দ্রকে তামিলনাড়ু সরকারের দাবি মেনে জাস্টিস  রঞ্জন গোগই, নবীন সিন‌্হা ও কেএম জোসেফের বেঞ্চে নতুন করে আবেদন জানায়। কিন্তু শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় তামিনাড়ু সরকারের আবেদনে তাদের সম্মতি নেই।

ভারতের মাটিতে রাজীব গান্ধীর মৃত্যু সব থেকে ভয়ঙ্কর ক্রাইম বলেই ব্যাখ্যা করেছে সরকার। যার পর ভারতের আইনি ব্যবস্থা বড় প্রশ্ন চিহ্ণের মুখে পড়ে গিয়েছিল। স্থগিত হয়ে গিয়েছিল সব নির্বাচন। ২৭ বছর ধরে জেল খাটছে পেরারিভালান মুরুগান, সানথাম, নলিনী শ্রীহরণ, রবার্ট পায়াস, জয়াকুমার ও রবিচন্দ্রন। এলটিটিই-র ষরযন্ত্রে ১৯৯১এ ভোটের প্রচারে গিয়ে মুত্যু হয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর। চেন্নাইয়ের শ্রীপেরুমবুদুর শহরের এক জনসভায় আত্মঘাতি বোমার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন রাজীব।

সেই সময় এই বন্দিদের মধ্যে পেরারিভালানের বয়স ছিল ১৯ বছর। বেল্ট বোমার জন্য দুটো নয় ভোল্টের ব্যাটারি সাপ্লাই দিয়েছিল সে। সে আদালতকে জানিয়েছিল তাঁর জানা ছিল না সেই ব্যাটারি কী কাজে ব্যবহৃত হবে। রাজীব গান্ধীর ছেলে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী নাকি পেরারিভালানকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে কোনও আপত্তি নেই বলে নাকি জানিয়েছিলেন।  এপ্রিলে মাড্রাস হাইকোর্টের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে আবেদন জানিয়েছিলেন নলিনী।  তার উপর ছিল মৃত্যু দন্ডের সাজা। কিন্তু সনিয়া গান্ধীর হস্তক্ষেপে নলিনীর ফাঁসি রদ করে দেওয়া হয়।

২০১৪তে সেই সময়ের মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা এদেরকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই সময় কংগ্রেস ছিল সরকারে। জয়ললিতার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল তারা। সুপ্রিম কোর্ট সেই সময় জানিয়েছিল এই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার একা নিতে পারে নায়। এতে কেন্দ্রের সম্মতি দরকার। এবং এই মামলা তদন্ত করছে সিবিআই।

করুণানিধির শেষকৃত্য হল চেন্নাইয়েই মেরিনা বিচে