বন্যায় ভাসছে দেশের একটা বড় অংশ, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্নাটকের

বন্যায় ভাসছে দেশের একটা বড় অংশবন্যায় ভাসছে দেশের একটা বড় অংশ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বন্যায় ভাসছে দেশের একটা বড় অংশ, পরিস্থিতি ভয়াবহ। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্নাটক এবং গুজরাতের মতো রাজ্যের। একই সঙ্গে মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর একাংশও বন্যা বিধ্বস্ত। পাশাপাশি অসম এবং বিহারের বিস্তীর্ণ অংশও ডুবে গিয়েছে বন্যার জলে। ওড়িশা এবং গোয়া— একটানা বৃষ্টিতে কার্যত বিপর্যস্ত অবস্থা এই দুই রাজ্যের। এর মধ্যেই শনিবার সকাল থেকে ফের বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি আরাও খারাপ চেহারা নেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহারাষ্ট্র, কেরল ও কর্নাটকে মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর অন্তত ২৫০টি দলকে।

মহারাষ্ট্রের অবস্থা সবচেয়ে ভয়ানক। সে রাজ্যের কোলাপুর শহরের একটা বড় অংশ চলে গিয়েছে প্রায় ১০ ফুট গভীর জলের তলায়। ফ্লাইওভারের উপর থেকে দেখা যাচ্ছে শুধুই বহুতলগুলির ছাদ। জল কোথাও কোথাও প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে উড়ালপুলকে। কোলাপুরের পাশাপাশি সাতারা ও সাংলি জেলা থেকে কম করে ৪ লক্ষ মানুষকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে। শনিবার থেকে জলস্তর নামতে শুরু করেছে মহারাষ্ট্রের কোলাপুর ও সাঙ্গলিতে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পীড়িতদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস।

এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন…

কর্নাটকে অন্তত ৬ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে বন্যার জেরে। এমনটাই দাবি রাজ্য প্রশাসনের। গত ৪৫ বছরে রাজ্যের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। তিনি কেন্দ্রের কাছে তিন হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এ দিন বেলগামে গিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যের ১৬টি জেলা জলমগ্ন। বন্যা কবলিত প্রতিটি জেলাকে ত্রাণ বাবদ ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, দুর্যোগের জেরে রাজ্যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবার-পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন তিনি। এখনও জলে আটকে বহু মানুষ। শনিবার নীলগিরি থেকে দুই শিশু-সহ ১১ জনকে উদ্ধার করেছে বায়ুসেনা।

বৃষ্টি-ধসে বিধ্বস্ত কেরলের ন’টি জেলায় আগেই লাল সতর্কতা জারি করেছিল প্রশাসন। শনিবারও ভারী বৃষ্টি হওয়ায় বন্যা-পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। তবে কোচি বিমানবন্দরে রবিবার দুপুর বারোটা থেকেই উড়ান চালু হবে বলে এ দিন কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন। রাজ্য জুড়ে ১.২৫ লক্ষ বন্যার্তকে উদ্ধার করেছে পিনারাই-বিজয়ন সরকার। তাঁদের ৭৩৮টি ত্রাণ শিবিরের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার পর্যন্ত গুজরাতে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। শনিবার নতুন করে বানভাসি হয়েছে কচ্ছ জেলার একাংশ।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)