মাস্ক ছাড়া ট্রেনে উঠলেই জরিমানা, গুনতে হতে পারে ৫০০ টাকা

মাস্ক ছাড়া ট্রেনে উঠলেই জরিমানা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মাস্ক ছাড়া ট্রেনে উঠলেই জরিমানা হবে বলে জানিয়ে দিল রেল দফতর। প্রথমবারের করোনাভাইরাসের পর মানুষ অনেকটাই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং থেকে মাস্কের ব্যবহার সব কিছুতেই গা ছাড়া ভাব দেখা যাচ্ছে সকলের মধ্যে। সঙ্গে সব অফিস থেকে শপিংমল-রেস্টুরেন্ট, ট্রেন, বাস, বিমান সব চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ায় সর্বত্র ভিড় বড়ছে। যার ফল কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে রীতিমতো হাহাকার চলছে দেশ জুড়ে।

কোটি কোটি মানুষের দেশে মানুষ নিজে সচেতন না হলে প্রশাসনের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়। তবে সারাক্ষণই সাবধান হওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তাতেও হুঁশ ফেরেনি মানুষের। প্রতিদিন রেকর্ড গড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। দ্রুত গতিতে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও তাতেও কোনও সাবধানতা নেই। সামান্য মাস্কটুকু নেই কারও মুখে। তার মধ্যে নতুন গবেষণা জানাচ্ছে কোভিডের ভাইরাস উড়ছে হাওয়ায়। যার ফলে মাস্ক সব থেকে জরুরী হয়ে উঠেছে এনিজেকে এবং সবাইকে বাঁচাতে।

মানুষকে আটকাতে সে কারণে এ বার একটু হলেও কঠিন‌ পদক্ষেপ নিল রেল কর্তৃপক্ষ। মাস্ক ছাড়া ট্রেনে চড়লেই দিতে হবে ৫০০ টাকা জরিমানা। যদি পড়ে ধরা। ট্রেনের পাশাপাশি স্টেশন চত্তরে পা রাখলেই মুখে মাস্ক বাধ্যতামূলক, অবশ্যই থুনতিতে নয়। স্টেশন চত্তরে বিনা মাস্কে দেখা গেলেও দিতে হবে সমান জরিমানা।

সঙ্গে বাড়ছে স্টেশন চত্তর ও ট্রেনের ভিতর পরিষ্কার রাখার পরিকল্পনা। যা রাখতে হবে নিজেদেরই। অযথা নোংরা করে রাখা যাবে না। যেখানে সেখানে থুতু ফেলার উপরও বসছে জরিমানা। আপাতত এই নিয়ম বলবৎ থাকবে ছ’মাস। ততে যদি মানুষের সম্বিৎ ফেরে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কোভিড বিধি মেনেই যে ট্রেন সফর করতে হবে সেটা নিশ্চিত করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

প্রথমবার কোভিড পরিস্থিতি সামলে ট্রেন চালু হওয়ার পর নতুন নিয়মের আওতায় কম্বল, চাদর, বালিশ দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে ট্রেনে। বন্ধ করা হয়েছে ট্রেনে খাওয়ার দেওয়াও। তবে রাজধানী, দুরন্তর মতো ট্রেনে বিক্রি হচ্ছে প্যকেট ফুড। বা আগাম অর্ডার দিলে স্টেশন থেকে প্যাকেট ফুড তোলা হচ্ছে যাত্রীদের জন্য। প্যান্ট্রিকারে শুধু পাওয়া যাচ্ছে চা ও কফি।

স্টেশনে স্টেশনে বাধ্যতামূলকভাবে রাখা হচ্ছে মাস্ক, স্যানিটাইজার, গ্লাভসসহ প্রয়োজনীয় জিনিসের স্টল। যাতে কেউ ভুলে গেলে যেন সঙ্গে সঙ্গে কিনে নিতে পারেন। ইতিমধ্যেই করোনার প্রকোপ বাড়তেই বিভিন্ন রাজ্য থেকে ঘরে ফেরার পালা শুরু হয়ে গিয়েছে সর্বত্র। যাতে চাপ বাড়ছে ট্রেনের উপর। এই মুহূর্তে গোটা দেশে ১৪০২টি ট্রেল চলাচল করছে। সঙ্গে চলছে বেশ কিছু বিশেষ ট্রেন। এই মাসের শেষের দিক থেকে আরও কিছু ট্রেন বাড়ানো হতে পারে।

(আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)