প্রিয়ঙ্কার রোড শো লখনউতে, কংগ্রেস কর্মীরা যেন প্রাণ ফিরে পেলেন উত্তরপ্রদেশে

প্রিয়ঙ্কার রোড শো লখনউয়েপ্রিয়ঙ্কার রোড শো লখনউয়ে।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: প্রিয়ঙ্কার রোড শো লখনউয়ে একেবারে জমে গেল। সাম্প্রতিক অতীতে এত জাঁকজমকপূর্ণ রোড শো এ দেশ দেখেনি। প্রায় ২৫ কিলোমিটারের এই রোড শো দিয়েই কংগ্রেসের সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী।

কয়েক দিন আগেই তাঁকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব দিয়েছেন দাদা রাহুল। কংগ্রেস সভাপতি পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব সহদরার হাতে সঁপে দিয়ে জানিয়েছিলেন, দু’মাসের জন্য প্রিয়ঙ্কাকে উত্তরপ্রদেশে পাঠাচ্ছি না। সোমবার লখনউয়ের চৌধরি চরণ সিংহ বিমানবন্দর থেকে কংগ্রেসের সদর দফতর অবধি প্রায় ২৫ কিলোমিটারের রোড শো দিয়ে প্রিয়ঙ্কা বুঝিয়ে দিলেন, তিনি উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব নিয়ে প্রস্তুত

এ দিন বেলা ১টা নাগাদ দিল্লি থেকে লখনউ পৌঁছয় প্রিয়ঙ্কার বিমান। সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সদ্য দায়িত্ব পাওয়া দলের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ছিলেন দাদা রাহুল গান্ধীও। বিমানবন্দর থেকেই বিশেষ এক বাসে তাঁরা রওনা দেন কংগ্রেসের সদর দফতরের দিকে। ওই বাসের ছাদে রেলিংয়ের ব্যবস্থা করা ছিল। সেখানেই দাঁড়িয়ে রোড শোয়ে অংশ নেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাহুল, জ্যোতিরাদিত্য, রাজ বব্বর প্রমুখ।

সকাল থেকেই বিমানবন্দরেই প্রিয়ঙ্কার জন্য অপেক্ষা করছিলেন কাতারে কাতারে মানুষ। যে রাস্তা দিয়ে প্রিয়ঙ্কার রোড শো হওয়ার কথা ছিল, সেই চারবাগ, হুসেনগঞ্জ, হজরতগঞ্জ— সমস্ত এলাকার রাস্তা ছিল ব্যানার-ফেস্টুনে ঠাসা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে লাখো লাখো কর্মী-সমর্থক। কেউ শঙ্খ বাজিয়ে, কেউ উলুধ্বনীতে, কেউ বা ফুল ছুড়ে প্রিয়ঙ্কাকে স্বাগত জানান। সেই সঙ্গে স্লোগান তো ছিলই। প্রিয়ঙ্কার বাসের আগে-পিছে পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন হাজারো মানুষ। সামনে গোলাপি জামা পরা প্রিয়ঙ্কা বাহিনী।

সক্রিয় রাজনীতিতে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, ভোটে দাঁড়াতে পারেন মা সনিয়ার রায়বরেলী থেকে

কংগ্রেসর সদর দফতরে পৌঁছে রাহুল ভাষম দেন। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা কোনও কতা বলেননি। এ দিনই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নাম নথিভুক্ত করেন। প্রকাশ্যে আনেন নিজের টুইটার হ্যান্ডল। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত একটি টুইটও করেননি তিনি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যায়।

এ দেশের রাজনীতিকদের মধ্যে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টুইটারে সবচেয়ে বেশি ফলোয়ার ছিল কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের। তার পর তালিকায় এক নম্বরে চলে যান নরেন্দ্র মোদী। এখনও তিনি ১ নম্বরেই রয়েছেন। এ দিন টুইটারে প্রিয়ঙ্কার ফলোয়ারের সংখ্যা দেখে সেই শশী মন্তব্য করেছেন, ‘মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই প্রিয়ঙ্কার ফলোয়ারের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। নিঃসন্দেহে রজনীকান্তের নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া নতুন সুপারস্টার জন্মালেন।’

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)