মুখোমুখি নরেন্দ্র মোদী, সব প্রশ্নই ফিরিয়ে দিলেন অমিত শাহের দিকে

মুখোমুখি নরেন্দ্র মোদীমুখোমুখি নরেন্দ্র মোদী

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মুখোমুখি নরেন্দ্র মোদী ভোট পর্বের শেষ পর্যায়ে। সারা দিন ধরেই জল্পনা চলছিল। কারণ, পাঁচ বছর আগে ঠিক আজকের দিনেই জিতে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে ফলাও করে সে কথা জানিয়েওছিলেন। কিন্তু এ দিন তিনি কী করবেন?

শুক্রবার বিকেল তখন প্রায় সাড়ে ৪টে। যাবতীয় জল্পনা সত্যি করে প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকের ঘরে এলেন। সঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ভোট প্রচারে অনেক সংবাদমাধ্যমকেই একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই অনেকেই ভেবেছিলেন, এ বার হয়তো সত্যিই প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন ওই বৈঠকে।

প্রথমে অমিত শাহ প্রায় ২০ মিনিট মোদীকে নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেন। তার পর মোদী নিজেও তাঁর কিছু কথা শোনান। যদিও তিনি বলেন, শুধু ধন্যবাদ জানাতেই এসেছেন। তার পর স্পষ্ট করেই ঘোষণা করে দেওয়া হয়, সাংবাদিকদের যা যা প্রশ্ন আছে, তা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকেই করতে হবে। তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কিছু প্রশ্ন এল। কিন্তু মোদী অমিত শাহের দিকে সে প্রশ্ন ফিরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘‘আমি দলের শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিক। দলের সভাপতিই আমাদের কাছে সব।’’

৫৪ মিনিট ধরে গোটা সাংবাদিক বৈঠক হয়েছে। তার মধ্যে মোদী নিজের কথা বলেছেন ১২ মিনিট। বাকি ৪২ মিনিট কখনও গালে হাত দিয়ে কখনও মাথা ঝুঁকিয়ে, কখনও উপরের দিকে কঠোর দৃষ্টিতে চুপটি করে রইলেন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠল রাজধানীতে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়াল বিদ্রূপ। এটি কি আদৌ মোদীর প্রথম সাংবাদিক বৈঠক ছিল? না কি সাংবাদিক বৈঠকের মঞ্চে অতিথির ভূমিকায় এলেন?

বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে পাশে বসিয়ে যে সাংবাদিক বৈঠক করেন মোদী, তাকে তীব্র কটাক্ষ করেন বিরোধীরা। কেউ বললেন, এটা প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিদায়ী সাংবাদিক সম্মেলন। কেউ বললেন, এটা যেন মন কি বাত অনুষ্ঠানের শেষ পর্ব। কেউই কোনও প্রশ্ন করলেন না। সবাই শুধু শুনে গেলেন! ওই সাংবাদিক সম্মেলনের পর কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী তাঁর টুইটে ‘একটি অসাধারণ সাংবাদিক সম্মেলন’-এর জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানান। সমাজবাদী পার্টি (সপা) নেতা অখিলেশ সিংহ যাদব শনিবার তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘ওঁদের সাংবাদিক সম্মেলন দেখে মনে হল যেন আর একটা মন কি বাত অনুষ্ঠান। শুধু সেটা রেডিওয় না হয়ে হল টেলিভিশনে। সাংবাদিকদের সেখানে কোনও সুযোগই দেওয়া হল না প্রশ্ন করার। তাঁদের অনুগত সৈনিকদের মতো মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকতে দেখা গেল।’