পুলওয়ামা হামলা: এ বার পাকিস্তানে ৩ নদীর জল আটকানোর হুমকি ভারতের

পুলওয়ামা হামলাইরাবতী নদী

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পুলওয়ামা হামলা হওয়ার পর পরই পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক ভাবে ধাক্কা দিতে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করেছে ভারত। প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’ (এমএফএন) তকমা। একই সঙ্গে আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ২০০ শতাংশ। এ বার পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াতে আরও এক প্রস্ত এগলো নয়াদিল্লি। পড়শি দেশে প্রবাহিত হওয়া নদীর জল এ পার থেকে আটকে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিল ভারত।

সিন্ধু উপত্যকায় মোট ৬টি নদী রয়েছে। এর মধ্যে পূর্ব দিকে রয়েছে ইরাবতী, শতদ্রু এবং বিপাশা। পশ্চিম দিকের তিনটি নদী হল সিন্ধু, বিতস্তা এবং চন্দ্রভাগা। এই ছ’টি নদীর জলবণ্টন নিয়েই ১৯৬০-এ ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাক প্রেসিডেন্ট আয়ুব খানের মধ্যে চুক্তি হয়। সেই সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি অনুযায়ী, সিন্ধু, বিতস্তা এবং চন্দ্রভাগার জল ব্যবহারের অধিকার পাকিস্তানের। ভারতীয় ভূখণ্ডে কোনও ভাবেই ওই তিন নদীর প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না ভারত। অন্য দিকে ইরাবতী, শতদ্রু এবং বিপাশা নদীর জল ব্যবহারের অধিকার ভারতের।

ওই চুক্তি অনুযায়ী শতদ্রু, বিপাশা এবং ইরাবতী নদীর জল নিজেরা ব্যবহার করার পর যে উদ্বৃত্ত থাকে তা পাকিস্তানকে দেয় ভারত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী জানান, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্বের নদীগুলি থেকে পাকিস্তানকে যে জল সরবরাহ করা হয়, তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

মন্ত্রকের এক প্রবীণ কর্তী নীতা প্রসাদ জানিয়েছেন, নিতিন গডকড়ী উরির সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলার পর থেকেই বলে আসছেন, ওই তিন নদীর ভারতের অংশের জল দেশের মধ্যেই অন্য অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর ফলে পাকিস্তান আর জল পাবে না।

কনওয়ালজিৎ সিং ধিলোঁ: কাশ্মীরে অস্ত্র হাতে তুলে নিলেই গুলি করা হবে

প্রথম বার এই জল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে উরির সেনা ছাউনিতে হামলার পরে। সেই হামলার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘‘রক্ত ও জল কখনওই একসঙ্গে বইতে পারে না।’’ তার পরেই ‘ইন্দাস ওয়াটার কমিশন’ নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সব আলোচনা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কূটনৈতিক মহলের মতে, সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি অনুযায়ী ইরাবতী, শতদ্রু এবং বিপাশা নদীর জল সম্পূর্ণ ব্যবহারের অধিকার পেয়েছে ভারত। তাই ওই নদীগুলিতে বাঁধ দিয়ে বা জল আটকে অন্য দিকে প্রবাহিত বাধ্য করলে চুক্তি লঙ্ঘন হবে না।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)