পি চিদম্বরম সিবিআই হেফাজতে, তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন পরিবারের সদস্যরা

পি চিদম্বরম তিহাড় জেলেপি চিদম্বরম তিহাড় জেলে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পি চিদম্বরম সিবিআই হেফাজতে থাকবেন আগামী পাঁচ দিন। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত গোয়েন্দা সংস্থার আর্জি মঞ্জুর করেই বৃহস্পতিবার ওই নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ২৬ অগস্ট পর্যন্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের ওই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তবে পি চিদম্বরম সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে আইনজীবী এবং পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে পারবেন।

বুধবার রাতে পি চিদম্বরমকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এ দিন তাঁকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজির করানো হয়। সেখানে সিবিআইয়ের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা জানান, তদন্তে অসহযোগিতা করছেন চিদম্বরম। তাই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।  তাঁকে পাঁচ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে চাওয়া হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টার সওয়াল জবাব শেষে বিচারক ওই আর্জি মঞ্জুর করেন।

এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন…

প্রায় ২৭ ঘণ্টা গোপন জায়গায় থাকার পর বুধবার রাতে চিদম্বরম কংগ্রেস সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, ‘‘আমার নামে বা আমার পরিবারের নামে কোনও অভিযোগ নেই। এমনকি, আমার নামে কোনও আদালতে কোনও চার্জশিট জমা দেয়নি সিবিআই-ইডি।’’ এর পরেই ওই রাতে তাঁর বাড়ির পাঁচিল টপকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। নিয়ে যাওয়া হয় লোদী রোডে সিবিআই সদর দফতরে। তত ক্ষণে সিবিআই দফতরে চলে যান সংস্থার অধিকর্তা আর কে শুক্ল, সহ-অধিকর্তা অমিত কুমার-সহ অন্য পদস্থ কর্তারা। সিবিআইয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার সারা রাত জেরা করা হয় চিদম্বরমকে। তার আগে রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি দল পরীক্ষা করে চিদম্বরমের। দেওয়া হয় রাতের খাবারও।

এ দিন আদালতে সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, চিদম্বরমের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। সে কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআইয়ের হয়ে সওয়াল করা তুষার মেটা বলেন, ‘‘এটি আর্থিক দুর্নীতির একটি ক্ল্যাসিক কেস। সেই সঙ্গেই চিদম্বরমের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগও আনা হয়।

তবে চিদম্বরমের আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে পাল্টা বলেন, ‘‘এটা এমন একটা মামলা, যেখানে তথ্য-প্রমাণের কোনও সম্পর্ক নেই। গ্রেফতারির অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে।’’ তাঁর অন্য আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন ‘‘আমাকে পাঁচ বার ডাকলে এক বারও না গেলে সেটাকে অসহযোগিতা বলা হয়। চিদম্বরমকে এক বারই ডাকা হয়েছে, তিনি গিয়েছেন, এখানে অসহযোগিতা কোথায়?’’

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)