কেদারনাথ মন্দিরে নরেন্দ্র মোদী, ধ্যানে বসে রাত কাটালেন গুহায়

মোদীর জন্মদিনে ২.৫ কোটি টিকা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কেদারনাথ মন্দিরে নরেন্দ্র মোদী যান। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে তিনি মন্দিরের ভিতরে পুজো দেন। তার পরে লাল কার্পেটে মোড়া চত্বরে হেঁটে মন্দির প্রদক্ষিণ করেছেন। আর গোটা সময়টায় মন্দির চত্বরে জনতার প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। কেদারনাথ মন্দিরে নরেন্দ্র মোদী যখন, তখন তাঁর পরনে আলখাল্লা ধাঁচের পাহাড়ি পোশাক। মাথায় হিমাচলি টুপি। গেরুয়া কোমরবন্ধ। কাঁধ থেকে বাঘছাল ছাপ চাদর ঝুলছে।

শনিবার মন্দিরে পুজো সেরে চড়াই ভেঙে একটি গুহায় পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি ধ্যানে বসেন। সেই গুহায় ধোপদুরস্ত গদি-পাতা তক্তপোশে ধ্যানমগ্ন প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। সন্ধ্যার আগে ধ্যান ভাঙে নরেন্দ্র মোদীর। গুহা থেকে বেরিয়ে তিনি কেদারনাথের আরতি দেখেন। শনিবার রাতে গুহাতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। রবিবার তাঁর যাওয়ার কথা বদ্রীনাথ মন্দির দর্শনে।

এ দিন সকালে দেহরাদূনের জলি গ্রান্ট বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে সোজা পৌঁছে যান কেদারনাথে। বিরোধীরা এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে। কমিশন আগাম বলেছিল, প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে তারা জানিয়ে দিয়েছে, এই সফরে যেন নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ না-হয়। কিন্তু বিরোধীরা অভিযোগ তুলছেন, শেষ দফার ভোটের আগে এখন সাইলেন্স পিরিয়ড চলছে। অথচ মোদী শুধু যে কাজ দেখাচ্ছেন তা-ই নয়, শনিবার কেদারনাথে এবং রবিবার ভোটের দিন বদ্রীনাথে হিন্দুত্ব নিয়ে কথাবার্তাও বলেছেন। যদিও বিজেপির দাবি, এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারি সফর। ফলে উন্নয়নের কাজকর্ম তদারক করতেই পারেন তিনি।

শনিবার কেদারের গুহার ভিতরে গেরুয়া বসনে নরেন্দ্র মোদীর ছবি সামনে আসতেই তোলপাড় ফেসবুক-টুইটার। রাত অবধি টুইটার ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে #কেদারনাথ। কিন্তু কেদারের গুহায় ধ্যান করতে গিয়েও কেন প্রধানমন্ত্রী ছবি তুলবেন, সেই প্রশ্নই তুলেছেন নেটিজেনরা। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, মোদীর হাতে একটি লাঠি। যে লাঠি হাতে নিয়ে মন্দিরকে পিছনে রেখে মোদীর প্রণামের ছবি টুইট করে আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ লিখেছেন, ‘বোলো ক্যামেরা ভগবান কী জয়!’ কংগ্রেস নেতাদের মতে, ছবিটা প্রতীকী। বিজেপি নেতাদের দাবি, শনিবার দু’কিলোমিটারের মতো হেঁটেছেন মোদী। সব রাস্তায় লাল কার্পেট ছিল না। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল খোঁচা দিয়ে জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদী একেবারে ২৩ তারিখে ভোটের ফল দেখে ঝোলা-কম্বল নিয়ে গেলে পারতেন।