সমীর ওয়াংখেড়ে মামলার তদন্ত করতে মুম্বই যাচ্ছে এনসিবির ভিজিল্যান্স টিম

সমীর ওয়াংখেড়ে মামলার তদন্তসমীর ওয়াংখেড়ে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সমীর ওয়াংখেড়ে মামলার তদন্ত নিয়ে তৎপড় এনসিবি। সমীর ওয়াংখেড়ে দিল্লিতে পৌঁছেছেন সোমবার রাতেই। মঙ্গলবার তিনি নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন। অন্য দিকে, বুধবারই এনসিবির পাঁচ সদস্যের একটি দল মুম্বই যাচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করতে। সমীর এই মুহূর্তে এনসিবির আঞ্চলিক অধিকর্তা। মুম্বই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীর মাদক-মামলা তাঁর নজরদারিতেই চলছে। ওই মামলাতেই সমীরের নেতৃত্বে এনসিবি গত ৩ অক্টোবর গ্রেফতার করেছে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান-সহ কয়েক জনকে। সম্প্রতি সমীর ওয়াংখেড়ে অভিযুক্ত হন, তিনি আরিয়ানকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ২৫ কোটি টাকা দাবি করেছেন। ওই মামলার এক সাক্ষী এমন দাবি করেন।

শুধু ওই সাক্ষী নন, সমীরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী নবাব মালিক। তিনি তোলাবাজি থেকে ফোন ট্যাপিং-সহ একাধিক অভিযোগ তোলেন এনসিবির আঞ্চলিক অধিকর্তা সমীরের বিরুদ্ধে। এমনকি, তফসিলি জাতিদের সংরক্ষণ সংক্রান্ত কারচুপির অভিযোগও তোলেন নবাব। ২৬টি অভিযোগ নিয়ে নবাব একটি টুইট করেন সমীরের বিরুদ্ধে। দাবি করেন, এই আধাকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। এর পরেই সমীরের বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্স তদন্তের নির্দেশ দেয় এনসিবি। বুধবার এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল মুথা অশোক জৈন জানিয়েছেন, এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সমীর ওয়াংখেড়ে দিল্লিতে পৌঁছেছেন সোমবার। তাঁর ঊর্ধতন আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিলেন সমীর। তবে সমীর একটি হলফনামা জমী দিয়েছেন আদালতে। সূত্রের খবর, নবাব মালিকের তোলা অভিযোগগুলোর প্রেক্ষিতেই ওই হলফনামা। এর আগে ঘুষের অভিযোগ ওঠার পর সমীর মুম্বই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি মুম্বই পুলিশের সদর দফতরে গিয়ে গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে দেখা করে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় জানিয়েছেন। পাশাপাশি, অভিযোগ করেন, তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার হেমন্ত নাগরালেকে লেখা একটি চিঠিতে সমীর লিখেছেন, তাঁর নিরাপত্তা প্রয়োজন। কেউ বা কারা তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তবে তাঁরা কারা, সে ব্যাপারে কোনও উল্লেখ নেই সমীরের চিঠিতে। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেই সমীরের অভিযোগের আঙুল। এর আগে প্রভাকর সেইল সমীরের বিরুদ্ধে আরিয়ানকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তোলেন সমীরের বিরুদ্ধে। প্রভাকর নিজেকে প্রাইভেট গোয়েন্দা কেপি গোসাভির দেহরক্ষী বলে দাবি করেন। তাঁর দাবি, আরিয়ানের জামিনের প্রেক্ষিতে শাহরুখের ম্যানেজারের কাছে ২৫ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন সমীর।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)