সাধ্বী প্রজ্ঞা এ বার নাথুরাম গডসেকে দেশভক্ত বললেন, চাইলেন ক্ষমাও

সাধ্বী প্রজ্ঞাসাধ্বী প্রজ্ঞা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সাধ্বী প্রজ্ঞা এ বার নাথুরাম গডসেকে দেশভক্ত বললেন। তবে দল বিজেপি প্রকাশ্যে সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করে। পরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন।

এর আগে নাথুরাম গডসেকে স্বাধীন ভারতের প্রথম হিন্দু জঙ্গি বলেছিলেন দক্ষিণী অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ কমল হাসন। সেই প্রসঙ্গে কম জলঘোলা হয়নি। এর পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্তব্য করেছিলেন, হিন্দু কখনও জঙ্গি হতে পারে না। বৃহস্পতিবার সাধ্বী প্রজ্ঞা আরও এক ধাপ এগিয়ে গডসেকে ‘দেশভক্ত’ বলে বসলেন।

বৃহস্পতিবার শেষ দফা ভোটের প্রচারে ভোপালের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা মালওয়া গিয়েছিলেন। ওই জায়গায় তিনি বলেন, ‘‘নাথুরাম গডসে দেশভক্ত ছিলেন, দেশভক্ত আছেন এবং দেশভক্ত থাকবেন। যাঁরা তাঁকে সন্ত্রাসবাদী বলছেন, তাঁদের ভেবে দেখা উচিত। এই ভোটেই তাঁরা উপযুক্ত জবাব পাবেন।’’

সাধ্বী প্রজ্ঞার এই মন্তব্যে এ দিন নতুন করে বিতর্ক ছড়ায়। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা টুইট করে বলেন, ‘‘জাতির জনকের খুনি যদি দেশপ্রেমী হন তা হলে মহাত্মা গাঁধীকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলতে হয়।’’ সরব হয় কংগ্রেসও। ভোপালের কংগ্রেস প্রার্থী দিগ্বিজয় সিংহ এ দিন বলেন, ‘‘নাথুরাম গডসেকে মহিমান্বিত করাটা মোটেই দেশপ্রেমের পরিচয় নয়। তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার নামান্তর। মোদীজি, অমিতজি এবং রাজ্য বিজেপি এর জবাব দাও। দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাও।’’ কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারাও এর প্রতিবাদ জানান। প্রজ্ঞার মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যঙ্গের ঝড় ওঠে। এক টুইটার ব্যবহারকারীর বক্তব্য, ‘‘মোদী, শাহ আর বিজেপির পর্দা ফাঁস হয়ে গিয়েছে। আসল চেহারা বেরিয়ে পড়েছে।’’

মালেগাঁও হামলায় নাম জড়ানো প্রজ্ঞার নানা মন্তব্যকে ঘিরে আগেও অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। প্রজ্ঞার এ দিনের মম্তব্যকে অবশ্য সমর্থন করেনি তারা। উল্টে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে দল। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা লোকেন্দ্র পরাশর বলেছেন, ‘‘মহাত্মা গাঁধীর খুনিকে কিছুতেই দেশপ্রেমী বলা যায় না।’’ শেষ মুহুর্তে প্রজ্ঞার থেকে যতই দূরত্ব বাড়াক না কেন স্বস্তি মিলছে না বিজেপির। এ দিন সন্ধে নাগাদ কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা টুইট করে বলেন, ‘‘প্রার্থীর থেকে দূরত্ব তৈরি করলেই হয় না। জাতীয়তাবাদের ধ্বজাধারী বিজেপি নেতারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুন।’’