সাধ্বী প্রজ্ঞা প্রসঙ্গে মুখ খুলল বিজেপি, সওয়াল মোদীর

সাধ্বী প্রজ্ঞা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সাধ্বী প্রজ্ঞা মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্ত। তাঁকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভোপালের প্রার্থী করার পর থেকেই দেশ জুড়ে প্রবল সমালোচনা। তবে এ নিয়ে এত দিন বিজেপির কোনও নেতাই প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। কিন্তু এ বার এক নিউজ চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রজ্ঞার প্রসঙ্গ তুললেন খোদ নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘এক জন সাধ্বী মহিলাকে প্রার্থী করায় এ দেশের বিরোধী দলগুলি যে ভাবে নিন্দা করছে, তা দুর্ভাগ্যজনক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পাঁচ হাজার বছরের পুরনো হিন্দু সংস্কৃতির গায়ে যাঁরা সন্ত্রাসী তকমা সেঁটে দিয়েছিলেন, সাধ্বী প্রজ্ঞাকে প্রার্থী করে তাঁদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে।’’

মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও এবং রাজস্থানের অজমেঢ় দরগার সামনে বিস্ফোরণ মামলার মূল অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা এখন জামিনে মুক্ত। দিন কয়েক আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করে বিজেপি। প্রজ্ঞার মতো এক জন জামিনে মুক্ত অভিযুক্তকে কী করে বিজেপি টিকিট দিল? এ প্রশ্ন তুলে প্রথম থেকেই সরব কংগ্রেস।

সাধ্বীর প্রসঙ্গ তুলে ওই সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসকেই তুলোধোনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং তাঁর মা সনিয়া গান্ধীর নাম না করে কটাক্ষ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘অমেঠী আর রায়বরেলীতেও দু’জন লড়ছেন তাঁরাও জামিনে মুক্ত। কই, তাঁদের নিয়ে তো কেউ প্রশ্ন তুলছেন না। অন্য দিকে, এক জন মহিলা যিনি সন্ন্যাসিনী, তাঁকে কী ভাবে অপমানিত করা হচ্ছে।’’

সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর ফের বিতর্কে, তাঁর ‘অভিশাপেই’ মারা গিয়েছেন হেমন্ত করকরে!

মোদী ওই সাক্ষাৎতাকে আরও বলেন, ‘‘কংগ্রস আগে থেকেই সব কিছু পরিকল্পনা করে রাখে। সমঝোতা কাণ্ডে কী হল? কিছুই প্রমাণিত হয়নি। বিচারপতি লোয়ার মৃত্যুতেও কোনও রহস্য ছিল না। কিন্তু কংগ্রেস বলল তাঁকে নাকি খুন করা হয়েছে। কংগ্রেস আসলে চিত্রনাট্য লিখে রাখে। এক জন খলনায়ক, এক জন নায়ক থাকে তাতে। তার পর নিজেদের মতো করে ছবির গল্প সাজায় ওরা।’’

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর মৃত্যুর পরে দেশ জুড়ে যে শিখ-বিরোধী দাঙ্গা হয়েছিল, তাকেও সন্ত্রাসবাদ বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা এবং রাজীব গান্ধীর নাম না করে তিনি বলেন, ‘‘ওঁর ছেলে বলেছিলেন যখন একটা বড় গাছ উপড়ে পড়ে, তখন পৃথিবী কেঁপে ওঠে। তার পরে দিল্লি হাজার হাজার শিখ মারা গিয়েছিলেন। সেটা সন্ত্রাসবাদ ছিল না? তার পরেও উনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ওই দাঙ্গার প্রত্যক্ষদর্শীরা পরে মন্ত্রী হয়েছেন, এক জনকে তো সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও করা হল। নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যম সে সব নিয়ে কাউকে কোনও প্রশ্ন করে না।’’

(ভারতের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)