মোদীর মুখে শাহিন বাগ, দিল্লির ভোটপ্রচারে বললেন, ‘এটা দেশ বিভাজনের রাজনীতির ছক’

Modi On Budget 2022

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মোদীর মুখে শাহিন বাগ, দিল্লির ভোটপ্রচারে দলের বাকি নেতাতের সুরেই কথা বললেন তিনি। অমিত শাহ থেকে যোগী আদিত্যনাথ, প্রবেশ বর্মা থেক অনুরাগ ঠাকুর— সকলেই দিল্লির ভোটপ্রচারে শাহিন বাগের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এ বার সেই সুরেই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

‘‘সীলমপুর, জামিয়া বা শাহিন বাগে, কিছুদিন ধরে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে। এই বিক্ষোভ নিছক কাকতালীয় নয়, পরীক্ষা- নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এর পিছনে দেশ বিভাজনের রাজনীতির ছক রয়েছে।’’— নরেন্দ্র মোদী

দিল্লির ভোট প্রচারে সোমবার ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রথম জনসভা। সেখানে আক্রমণাত্মক মোদী বললেন, ‘‘কিছু লোক এসেছিলেন রাজনীতি বদলের জন্য, এখন তাঁদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। বাটলা হাউসের ঘটনায় এঁরাই দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বলেছিলেন। ভারতকে টুকরো-টুকরো করার অভিপ্রায় রাখা লোকেদের এঁরা বাঁচাচ্ছেন শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্ক ও তোষণের রাজনীতির জন্য।’’


আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন

না এখানেই তামেননি তি‌নি। সুর আরও চড়িয়ে বলেছেন, ‘‘সীলমপুর, জামিয়া বা শাহিন বাগে, কিছুদিন ধরে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে। এই বিক্ষোভ নিছক কাকতালীয় নয়, পরীক্ষা- নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এর পিছনে দেশ বিভাজনের রাজনীতির ছক রয়েছে।’’

‘‘দিল্লির জনতা নীরব, কিন্তু রাগে ফুটছেন। এই (শাহিন বাগের) মানসিকতাকে এখানেই থামানো জরুরি। না হলে শক্তি বাড়িয়ে চক্রান্ত্রকারীরা কাল অন্য রাস্তা আটকাবেন।’’— নরেন্দ্র মোদী

এর পর বিরোধীদের নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘স্রেফ একটি আইনের বিরোধিতা হলে সরকারের যাবতীয় আশ্বাসের পর এটি শেষ হতো। কিন্তু আপ ও কংগ্রেস রাজনীতির খেলা খেলছে।সংবিধান ও তেরঙ্গাকে সামনে রেখে আসল ষড়যন্ত্র থেকে দৃষ্টি সরানো হচ্ছে। সংবিধানের ভিতে তৈরি আদালত অনেক বার অসন্তোষ জানিয়ে বলেছে— বিক্ষোভে যেন আম জনতাকে দুর্ভোগ পোয়াতে না হয়। যাঁরা সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টের অসন্তোষের পরোয়া করেন না, তাঁরা দুনিয়াকে সংবিধানে শেখাচ্ছেন!’’

মোদী আরও বললেন, ‘‘দিল্লির জনতা নীরব, কিন্তু রাগে ফুটছেন। এই (শাহিন বাগের) মানসিকতাকে এখানেই থামানো জরুরি। না হলে শক্তি বাড়িয়ে চক্রান্ত্রকারীরা কাল অন্য রাস্তা আটকাবেন।’’

‘‘কিছু লোক এসেছিলেন রাজনীতি বদলের জন্য, এখন তাঁদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। বাটলা হাউসের ঘটনায় এঁরাই দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বলেছিলেন। ভারতকে টুকরো-টুকরো করার অভিপ্রায় রাখা লোকেদের এঁরা বাঁচাচ্ছেন শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্ক ও তোষণের রাজনীতির জন্য।’’— নরেন্দ্র মোদী

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)