মায়াবতী ‘জোট নয়’ জানাতেই কংগ্রেস বলল, উনি বিজেপির এজেন্ট

মায়াবতীহারানো দিন: মায়াবতী এবং সনিয়া গাঁধী।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মায়াবতী সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন। এ বছরের শেষেই রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) এবং কংগ্রেসের মধ্যে। কিন্তু, আসন সমঝোতার দায় কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়ে জোট হচ্ছে না বলে বুধবার জানিয়ে দিলেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী।

আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সমস্ত সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিয়েছেন মায়াবতী। কংগ্রেসকে সুনির্দিষ্ট ভাবে আক্রমণ করে মায়াবতী এ দিন বলেন, ‘‘কোনও মূল্যেই আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে রাজস্থান-মধ্যপ্রদেশে ভোটে লড়ব না।’’

কিন্তু, কারণ কী? এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে গোটাটার দায় কংগ্রেসের ঘাড়েই চাপিয়ে দিয়েছেন মায়াবতী। আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে মায়াবতীকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ তাঁর। তিনি জানান, যে সংখ্যক আসন তিনি চেয়েছিলেন কংগ্রেস তাতে রাজি হয়নি। মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা আসন মোট ২৩০টি। তার মধ্যে মায়াবতী কংগ্রেসের কাছে ৫০টি আসন চেয়েছিলেন বলে দাবি। সেই ৫০টির মধ্যে আবার ২২টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণাও করে দিয়েছিলেন মায়াবতী।

এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী অভিযোগ করেন, ‘‘কংগ্রেস কোনও ভাবেই একটি ঠিকঠাক জোট তৈরি করতে চায় না। তাদের দেখে কোনও ভাবেই প্রস্তুতও মনে হচ্ছে না। প্রশ্নটা হল, কংগ্রেস কি আদৌ বিজেপিকে হারাতে চায়? এই অ্যাটিটিউটের কারণেই আমরা কর্নাটক এবং ছত্তীসগঢ়ে অন্যদের সঙ্গে নিয়ে লড়াই করেছি এবং করব।’’

দিল্লির রাস্তায় রাত কাটালেন প্রায় ৩০ হাজার কৃষক!

কংগ্রেস যদিও বিষয়টিকে অন্য ভাবে দেখছে। তাদের দাবি, মায়াবতী আসলে বিজেপি ‘জুজু’তে ভয় পেয়েছে। দিগ্বিজয় সিংহের মতো কংগ্রেস নেতাদের মতে, বিরোধী শিবিরে যেতে মায়াবতীর উপর ভয়ঙ্কর চাপ তৈরি করেছে বিজেপি। মায়াবতীরও ভয় রয়েছে, কারণ তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চলছে। মধ্যপ্রদেশেরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় এ দিন ক্ষুব্ধ হয়ে মায়াবতীর সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ‘বিজেপির এজেন্ট’ বলেও মন্তব্য করেছেন। মায়াবতীও পাল্টা দাবি করেছেন, কংগ্রেসের আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বিজেপিকে হারানো। তার বদলে তারা মিত্রশক্তিকেই হারানোর চেষ্টা করছে।

কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা যদিও বলেন, ‘‘আবেগের বশে মুখ ফস্কে অনেক কথাই বেরিয়ে যায়। তবে আশার কথা, সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধীর উপর আস্থা রেখেছেন মায়াবতী। বাকি সমস্যাগুলো মিটিয়ে নেওয়া সম্ভব।’’