আস্থাভোটে জিতলেন উদ্ধব, বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির

আস্থাভোটে জিতলেন উদ্ধবশিবাজি মূর্তিতে শ্রদ্ধা উদ্ধবের।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আস্থাভোটে জিতলেন উদ্ধব ঠাকরে। শনিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় তাঁর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ ছিল। সেই আস্থাভোটে উদ্ধবের পক্ষে ১৬৯ জন বিধায়ক সমর্থন করেছেন। যদিও ওই আস্থাভোট শুরুর আগেই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়কেরা।

মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটের ফল বেরিয়েছে ২৪ অক্টোবর। একক ভাবে কোনও দল সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি। শেষে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট গড়ে সরকার গঠনের প্রস্তাব দেয়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিবাজি পার্কে জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে। বিধানসভায় সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এ দিন সেই আস্থাভোটেই প্রত্যাশা মতোই জয়ী হল ‘মহা বিকাশ আগাডি’র জোট।

দেশের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন

এ দিন ভোটাভুটি শুরুর আগেই ওয়াক আউট করে বিজেপি। তাদের দলের প্রোটেম স্পিকার কালীদাস কোলাম্বকরকে সরিয়ে এনসিপি-র দিলীপ ওয়ালসে পাটিলকে ওই পদ দেওয়ার প্রতিবাদে তারা ভোটাভুটিতে অংশও নেয়নি। ২৮৮ আসনের বিধানসভায় সরকার গড়তে প্রয়োজন ছিল ১৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন। উদ্ধবকে সেখানে এ দিন সমর্থন করেছেন ১৬৯ বিধায়ক।

বিধানসভায় স্থায়ী স্পিকার নির্বাচিত হবেন রবিবার। শাসক জোটের পক্ষে স্পিকার পদের দাবিদার কংগ্রেসের নানা পাটোলে। তিনি একটা সময়ে বিজেপিতে ছিলেন। বিজেপি যদিও জানিয়েছে, তাদের বিধায়ক কিসান কাঠোরে স্পিকার পদের প্রার্থী হবেন। নতুন স্পিকার বিধানসভার বিরোধী দলনেতার নাম ঘোষণা করবেন। আস্থাভোটের আগে উদ্ধব বিধানসভা চত্বরে ছত্রপতি শিবাজির মূর্তির কাছে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তার পর শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি বিধায়কদের উদ্দেশে হুইপ জারি করে জানান, সকলকে বিধানসভায় উপস্থিত থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার মু্ম্বইয়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন উদ্ধব ঠাকরে। ওই দিন তাঁর সঙ্গে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন আরও ছ’জন। তবে উপ মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এনসিপি এবং শিবসেনা থেকে মোট দু’জনকে উপ মুখ্যমন্ত্রী করা হবে বলে, প্রথমে জানা গেলেও, এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে বিধানসভার স্পিকার পদের জন্য ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কংগ্রেসের নানা পাটোলে। তবে একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, দফতর বন্টন নিয়ে ইতিমধ্যেই কথা হয়ে গিয়েছে তিন দলের মধ্যে। স্বরাষ্ট্র, অর্থ, পরিবেশ এবং বন দফতর পেতে পারে এনসিপি। রাজস্ব, পূর্ত এবং শুল্ক দফতর কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে। নগরোন্নয়ন, গৃহ নির্মাণ, সেচ যেতে পারে শিবসেনার কাছে। শিক্ষা, শিল্প প্রক্ষৃতি নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)