জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: যৌনচক্রে নাম জড়াল মধ্যপ্রদেশের ৮ প্রাক্তন মন্ত্রী ও জনা দশেক শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ এ বিষয়ে একটি বিশেষ তদন্তকারী সংস্থা (সিট) গঠন করেছে। সিট-এর হাতে এসেছে প্রায় ৪ হাজার ‘মিডিয়া ফাইল’। সেই ফাইলগুলিতে ওই নেতা-মন্ত্রীদের ‘অস্বস্তিজনক অবস্থা’র ভিডিয়ো, ছবি ও ‘যৌন চ্যাট’ উদ্ধার হয়েছে।
কলেজ পড়ুয়াদের পাশাপাশি ওই চক্রে জড়িত ছিলেন বলিউডের দ্বিতীয় সারির কয়েক জন অভিনেত্রীও। এমন খবরই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। হোটেলের ঘরে গোপন ক্যামেরায় ওই অস্বস্তিজনক অবস্থায় নেতা-মন্ত্রীদের ভিডিয়ো তুলতেন তাঁরা। পরে সেগুলি দেখিয়ে ‘ব্ল্যাকমেল’ করে টাকা আদায় করা হত।
দেশের আরও খবর পেতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
এই চক্রের মাথা শ্বেতা স্বপ্নিল জৈনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, ভোপালের বিভিন্ন অভিজাত ক্লাবে যাতায়াত ছিল এই চক্রে জড়িত মেয়েদের। সেখানে আসা নেতাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতেন তাঁরা। শ্বেতা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালাতেন। রাজ্যের বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
জেরায় তিনি জানিয়েছেন, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের কলেজ পড়ুয়াদের চাকরি ও বিলাসবহুল জীবনযাপনের লোভ দেখিয়ে নিয়ে আসতেন। ধনী ও ক্ষমতাশালীদের থেকে টাকা আদায় করতে তাঁদের এক হাজারের বেশি ‘আপত্তিকর’ ভিডিয়ো তুলেছিল চক্রটি। শ্বেতা জৈনের বাড়ি থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, নথি ও ভিডিয়ো উদ্ধার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি এক জন শীর্ষ আইএএস অফিসারকে ব্ল্যাকমেল করে ২ কোটি টাকা হাতিয়েছিল দলটি।
আরতি দয়াল নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে সম্প্রতি ৩ কোটি টাকা চাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন ইনদওর পুরসভার এক অফিসার। প্রথম কিস্তির ৫০ লক্ষ টাকা দিতে আরতি ইনদওরে এসেছিলেন। তখন তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করেই বাকিদের কথা জানা যায়।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)
