লোকসভার সঙ্গেই ১১ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পরিকল্পনা বিজেপি-র

বাংলাদেশে নির্বাচন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: লোকসভার সঙ্গেই ১১ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে বিজেপি। দলের এক শীর্ষ সূত্র এমনটাই জানিয়েছেন।

আগামী বছরের গোড়াতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে মোদী সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর দল বিজেপি বার বার বুঝিয়ে এসেছে, লোকসভা হোক বা রাজ্যে রাজ্যে বিধানসভা, দেশ জুড়ে সবেরই একসঙ্গে ভোট করতে চায় তারা। এ বার সেই পথে হেঁটেই লোকসবা নির্বাচনের সঙ্গে অন্তত ১১ রাজ্যে বিধানসভা ভোট করানোর পরিকল্পনা তাদের।

ওই সূত্রটির মতে, এ বছরের শেষেই কয়েটকি রাজ্যে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আগামী বছরের শুরুর দিকে কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে। আবার ২০২০-তে কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই সবগুলো রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করার কখা ভাবা হচ্ছে। সঙ্গে হবে দেশের সাধারণ নির্বাচন।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শহড় জুড়ে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা

মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে ২০১৯-এর জানুয়ারিতেই বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে। তিনটি রাজ্যেই ক্ষমতায় এই মুহূর্তে রয়েছে বিজেপি। তিনটি রাজ্যেই কয়েক মাসের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে লোকসভার সঙ্গেই বিধানসভা নির্বাচন করানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এ বছরের ডিসেম্বর মাসেই কংগ্রেস শাসিত মিজোরামে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অন্য দিকে ওই সূত্রটির মতে, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনও এগিয়ে নিয়ে এসে জুড়ে দেওয়া লোকসভার সঙ্গে। আবার অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনও লোকসভার ভোটের সঙ্গে করা যায় বলে ওই সূত্রটির দাবি। ২০২০ সালে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। ওই সূত্রটির মতে, বিজেপি পরিকল্পনা করে সেই নির্বাচনও এগিয়ে নিয়ে এসে লোকসভার সঙ্গে করে নিতে পারে।

কিন্তু, এতগুলো রাজ্যে একসঙ্গে নির্বাচ‌নের সুফল কী? বিজেপি-র সূত্রটির মতে, এতে এক দিকে যেমন খরচ বাঁচবে, তেমনই বছরভর দেশ জুড়ে ভোট-উৎসব নিয়ে ব্যস্ততা কমবে। ভোটপর্ব সামলাতে প্রশাসনেরও সুবিধা হবে। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় এসেই নরেন্দ্র মোদী তেমনটাই চেয়েছিলেন। বার বার সে কথা তিনি বিভিন্ন সভামঞ্চ থেকে ঘোষণাও করেন। কিন্তু, কাজের কাজ এখনও পর্যন্ত কিছু হয়নি। বিজেপি বিল পাশ করে, আইন বদলে, লোকসভা এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করার মতো অবস্থাতেই এই মুহূর্তে বিজেপি নেই। কাজেই এখন অন্য পরিকল্পনা করেই তাদের কাজ হাসিল করতে হবে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত। অন্য একটা অংশ বলছে, এ ভাবে কোনও রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যায় না। তার জন্য ওই রাজ্যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে তা প্রমাণ করতে হয়। কাজেই বিজেপি-র ওই পরিকল্পনা বাস্তবের মুখ দেখবে না বলেই ওই অংশের দাবি।

এরই মধ্যে আইন মন্ত্রকে বিজেপির তরফে চিঠি দিয়ে দেশে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করার আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। মন্ত্রক তার জবাবে কী জানিয়েছে, সেটা যদিও এখনও জানা যায়নি।