মোদী-শাহ জুটিকে কৃষ্ণ-অর্জুন বললেন রজনীকান্ত, কাশ্মীর প্রসঙ্গে অভিনন্দনও

মোদী-শাহ জুটিকে কৃষ্ণ-অর্জুন বললেন রজনীকান্তমোদী-শাহ জুটিকে কৃষ্ণ-অর্জুন বললেন রজনীকান্ত

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মোদী-শাহ জুটিকে কৃষ্ণ-অর্জুন বললেন রজনীকান্ত । রবিবার চেন্নাইয়ে এক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে ওই মন্তব্য করেছেন দক্ষিণী ওই সুপারস্টার। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা রদ এবং ওই রাজ্যকে ভেঙে দুটো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার সিদ্ধান্তেরও জন্যও ওই জুটির প্রশংসা করেছেন তিনি।

তবে ওই মন্তব্যে তিনি পরিষ্কার করেননি, কে কৃষ্ণ এবং কে অর্জুন। এ দিন উপ রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নায়ডুকে নিয়ে লেখা একটি বই প্রকাশিত হয় চেন্নাইয়ে। সেখানে রজনীকান্ত বলেন, ‘‘মিশন কাশ্মীরের জন্য অমিত শাহকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ ঠিক যেন কৃষ্ণ এবং অর্জুন। তবে কে কৃষ্ণ এবং কে অর্জুন, তা আমরা জানি না।’’

এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন…

২০২১ সালে তামিলনাডুতে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই রাজনৈতিক দল তৈরি করার কথা রজনীকান্তের। সেই দলের কী নাম হবে তা এখনও জানা যায়নি। দক্ষিণের আর এক অভিনেতা কমল হাসন যদিও গত বছরই তাঁর রাজনৈতিক দল খোলেন। সেই দলের নাম মাক্কাল নিধিম মৈয়ম (এএনএম)। কমল যদিও কাশ্মীরের ওই সিদ্ধান্তের জন্য বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছেন।তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘এটা গণতন্ত্রের অপমান।’’

তবে, রজনীকান্তের এ দিনের মন্তব্যে একটা বিজেপির প্রতি ঝুঁকে থাকার ইঙ্গিত দেখতে পেয়েছে রাজনৈতিক মহল। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মতো ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এ দিন যদিও ফের সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। চেন্নাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে আত্মবিশ্বাসের সুরেই তাঁর দাবি, ‘‘এই বিশেষ ধারা বিলোপের ফলে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ শেষ হবে। উন্নয়নের পথে এগোবে কাশ্মীর।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি নিজে বিশ্বাস করতাম সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ উঠে যাওয়া উচিত। এই অনুচ্ছেদ বাতিলের পর এ বার উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ শেষ হবে এবং কাশ্মীর উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে।’’ কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদের বাইরে এই প্রথম মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত ৫ অগস্ট রাজ্যসভায় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে দেওয়ার ঘোষণা করেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় সরকারের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এ দিন অমিত শাহ বলেন, ‘‘সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের বলেই বিশেষ মর্যাদা পেত জম্মু-কাশ্মীর। তা তুলে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল, কারণ এটা দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।’’

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)