প্রশান্ত কিশোর পেলেন নীতীশের দলের দু’নম্বর পদ, এক মাসের মধ্যেই হাতেগরম দায়িত্ব

প্রশান্ত কিশোরনীতীশ কুমার এবং প্রশান্ত কিশোর

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: প্রশান্ত কিশোর একটা সময় নির্বাচনী প্রকৌশলী হিসাবে দেশ জুড়ে খ্যাত ছিলেন। শুরুটা হয়েছিল বিহার দিয়েই। জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর হয়ে তিনি ২০১৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের সমস্ত দায়িত্ব সামলেছেন।

তার পর বিভিন্ন দলের হয়ে সেই দায়িত্ব পালন করে গত ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি নীতীশ কুমারের জনতা দল (ইউনাইটেড)-এ যোগ দেন। ঠিক তার এক মাস পর মঙ্গলবার সেই দলেই সহ-সভাপতির ব্যাটনটি তুলে দেওয়া হল তাঁর হাতে। এ দিন এই মহাদায়িত্ব তাঁর হাতে তুলে দেন খোদ দলের সভাপতি তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। পরে দলের মুখপাত্র কে সি ত্যাগী প্রশান্তের সহ-সভাপতি হওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমকে দেন। তিনি বলেন, ‘‘দলের এমনিতে যে প্রথাগত ভিত্তি, প্রশান্ত কিশোর-এর এই পদে আসাটা তা আরও জোরদার করবে। কারণ, সোশ্যাল মাধ্যমে প্রশান্ত কিশোর দলের ভিতকে আরও দৃঢ় করে তুলবেন।’’

এক মাস আগে দলে যোগ দিয়ে প্রশান্ত কিশোর দলের কার্যকরী কমিটির সদস্য হয়েছিলেন। কিন্তু, নীতীশ কুমার এ দিন তাঁকে সহ-সভাপতির পদ দেওয়ায় প্রশান্ত কিশোর দলের দু’নম্বর পদটি পেলেন। এই পদ পেয়ে স্বভাবতই খুশি প্রশান্ত কিশোর। এর আগে দলে যোগ দিয়ে তিনি টুইট করেছিলেন, ‘নতুন সফর বিহার থেকে শুরু করতে পেরে আমি খুবই উত্তেজিত।’

ইলাহাবাদ হবে প্রয়াগরাজ, যোগী আদিত্যনাথের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রশান্ত কিশোরকে এই পদে নিয়ে এসে নীতীশ এক ঢিলে অনেকগুলি পাখি মারতে চেয়েছেন। এই মুহূর্তে বিজেপির সহায়তায় রাজ্যে তিনি সরকার চালাচ্ছেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনের সময় বিহারে এনডি-এর সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে একটা বিবাদ বাঁধতে পারে। সেটা প্রশান্তের মতো মানুষ সামলাতে পারবেন। এনডিএ-র শরিক হিসাবে রাজ্যে বিজেপি, জেডিইউ, এলজেপি এবং আরএলএসপি রয়েছে। আসন সমঝোতা নিয়ে সে রকম ভাবে কোনও ঐকমত্যে এখনও পৌঁছতে পারেনি কেউ। সেই ভাগবাঁটোয়ারাটা ভাল করেই প্রশান্ত সামলাতে পারবেন বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

যদিও প্রশান্ত নিজে তো বটেই, তাঁর দল জেডিইউ-ও এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছে। পরিকল্পনাটা ঠিক কী রকম, তা নিয়ে কেউই মুখ খুলতে নারাজ। এমনকি প্রশান্ত নিজে ভোটে দাঁড়াবেন কি না, তা নিয়েও জল্পনা রয়েছে। একটা অংশের মতে প্রশান্ত বক্সার কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করতে পারেন। যদিও জেডিইউ এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।