কিন্নর ধসে বেঁচে গেলেন, তাঁদের একজনের ক্যামেরায় ধরা পড়ল ভয়ঙ্কর দৃশ্য

কিন্নর ধসে বেঁচে গেলেন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কিন্নর ধসে বেঁচে গেলেন ঠিকই কিন্তু সারাজীবনের জন্য বড় ক্ষত থেকে গেল মনে। চোখের সামনে দেখলেন যাঁদের সঙ্গে আনন্দ করতে করতে পাহাড়ের শোভা দেখতে দেখতে এগোচ্ছিলেন তাঁরা মুহূর্তের মধ্যে মৃত দেহ হয়ে গেল। বেঁচে গেলেন ওঁরা ২ জন। ১১ জনের মধ্যে ৯ জনই প্রাণ হারায় পাহাড় থেকে নেমে আসা পাথরের ধাক্কায়। এই ঘটনার দু’দিন বাদে সামনে এসেছে এই ভিডিও। ভিডিওটি করেন ওই ট্র্যাভেলারে থাকা নভীন। তাঁর মাথা ফেঁটে রক্ত পড়ছিল। তিনিই পুলিশকে ফোন করেন।

নভীনকে সেই ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘‘ঠিক ১০ মিনিট আগে  আমাদের গাড়ি এখানে দাঁড়িয়েছিল। যখন উপর থেকে পাথর এসে পড়ে এবং সেই ধাক্কায় গাড়ি নিচে গড়িয়ে পড়ে। আমি ড্রাইভারের পাশের সিটে বসেছিলাম। কোনও রকমে বেরিয়ে আসতে পারি এবং আমার মাথায় লাগে। রক্ত পড়ছে কিন্তু এখনও জানি না কতটা সিরিয়াস হয়েছে।’’

যখন তিনি ভিডিওটি করছেন তখনও উপর থেকে পাথর গড়িয়ে পড়ছে নিচে। গাড়ি থেকে বেরিয়ে নভীন একটি গাছের পিছনে আশ্রয় নেন। নিচের দিকে দেখিয়ে নভীন বলেন, চাঁর বন্ধু ওখানে আটকে রয়েছে সঙ্গে একজন মহিলাও রয়েছেন। সেই বন্ধুকে ল‌ক্ষ্য করে নভীনকে চিৎকার করতে শোনা যায়, ‘‘ওখানে থাক, গাছের পিছনে আশ্রয় নাও। পাথর নামছে। আমি আসছি।’’ এর মধ্যেই তিনি আবারও পুলিশকে ফোন করেন। নভীনকে দেখা যায় তিনি বেশ খানিকটা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নিচে নেমে গিয়েছেন। তখনই এই দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া আর একজনকে নেমে আসতে দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায়। তিনিই জানান, উপরে এক জনের দেহ রয়েছে। তাঁর নাম শিরিল বলে জানা যায়।

এই তিন জনই গাড়ির বাইরে বেরতে পেরেছিলেন। বাকি সকলেই গাড়ির মধ্যে আটকে থাকেন। ধসের ধাক্কায় যা একদম খাদে গিয়ে পড়েছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধারকারী দল সেখানে হাজির হয়। কিন্তু আর কাউকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। দুর্ঘটনার আগেই সেই গাড়িতে থাকা রাজস্থানের ডাক্তার দীপা শর্মা তাঁর ছবি টুইট করেছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘ভারতের শেষ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে রয়েছি যেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। এখান থেকে তিব্বতের বর্ডার ৮০ কিলোমিটারের মতো। যা চিনের দখলে।’’

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)