কেরলে বন্যা: ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়াল গোটা দেশ, বার্সেলোনা-লিভারপুল এফসি-ও

কেরলে বন্যাকেরলে বন্যা। ছবি: ভারতীয় বায়ুসেনার সৌজন্যে।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কেরলে বন্যা পরিস্থিতি প্রতি দিন আরও খারাপ হচ্ছে। তার মধ্যেই শনিবার কেরলে বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন সকালে তিনি হেলিকপ্টারে চেপে কেরলের দুর্গত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন।

আকাশপথে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর কেরলে ৫০০ কোটি টাকার অন্তর্বর্তী ত্রাণের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে মৃতদের পরিবার প্রতি ২ লাখ টাকা করে এবং আহতদের পঞ্চাশ হাজার টাকা করে সাহায্যের নির্দেশও দেন তিনি। এর মধ্যেই আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের ১৪টির জেলার মধ্যে ১১টিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যাতেই কেরল পৌঁছেছিলেন মোদী। এ দিন সকালে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেন। সকাল থেকে টানা বৃষ্টি ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার ওড়াতে রাজি হয়নি নৌসেনা। পরে আবহাওয়ার একটু উন্নতি হতে হেলিকপ্টারে করে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে বেরিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী

কেরলে বন্যা পরিস্থিতি: মৃত ৩২৪, যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

কেরলে বন্যা পরিস্থিতি গত ১০০ বছরের মধ্যে এই প্রথম এমন খারাপ জায়গায় পৌঁছল। এখনও পর্যন্ত কেরলে বন্যায় ৩২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন ত্রিশূর (৪২), ইডুকি (৩৭) এবং মাল্লাপুরম (৩৫) জেলায়। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ৩৬ জন। প্রায় ৩ লাখ ১৪ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে। কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, ৫৭টি এনডিআরএফ দলের ১ হাজার ৩০০ সদস্য কেরলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে ৪৩৫টি বোট। রাজ্যে পাঁচ কোম্পানি বিএসএফ, সিআইএসএফ এবং র‌্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে।

তবে, এমন একটা পরিস্থিতিতে প্রায় গোটা দেশকেই পাশে পেয়েছে কেরল। ত্রাণের কাজে হাত বাড়িয়েছে সকলে। কংগ্রেস সব রাজ্যে তাদের বিধায়ক এবং সাংসদদের এক মাসের বেতন কেরলে বন্যা পরিস্থিতির জন্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আম আদমি পার্টিও তাদের সমস্ত বিধায়ক ও সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছে এক মাসের বেতন কেরলে বন্যা পরিস্থিতির তহবিলে জমা দেওয়ার। দিল্লির সমস্ত সরকারি কর্মচারীকে এক দিনের বেতন দেওয়ার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। এ ছাড়া গুজরাত, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্য সরকার ১০ কোটি টাকা করে ত্রাণ তহবিলে জমা দেবে বলে জানিয়েছে।

অন্য দিকে ক্রীড়া দুনিয়াও কেরলে বন্যা পরিস্থিতির পাশে দাঁড়িয়েছে। বার্সিলোনা এবং লিভারপুল এফসি কেরলে ত্রাণকাজের জন্য তাদের সমর্থকদের সাহায্য করার অনুরোধ করেছে।