কেরলের বন্যা পরিস্থিতি সঙ্কটজনক, বুধবার মৃত ২৫

কেরল বন্য়া

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কেরলের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। বুধবার এক দিনে বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। যার ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৬৭তে। কেরালা জুড়ে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কোচি বিমান বন্দরও। শনিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বিমান বন্দর। পুরো কোচি এয়ারপোর্ট এই মুহূর্তে জলের চলায়। ডুবে গিয়ে রানওয়ে।

৮ অগস্ট থেকে কেরলের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। ১৯২৪এর পর এমন বন্যা আর দেখেনি কেরলের মানুষ। ৬০ হাজারের উপর মানুষকে রিলিফ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। আর শস্য থেকে সম্পত্তির যা ক্ষতি হয়েছে সেটা ৮ হাজার কোটি ছাড়িয়েছে। সাময়িক বৃষ্টি কমলেও বুধবার থেকে আবার নতুন করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে ৬০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া। পুরো কেরালা জুড়ে ১০ হাজার কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০০র উপর বাড়ি ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের প্রায় সব নদী বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। পাহাড়ি অঞ্চলে নিয়মিত ধস নামছে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইদুক্কি, কোঝিকোর, কান্নুর, ওয়াইনাদ ও মালাপ্পুরম।

কেরলের ১৪টি জেলা একেবারে জলের তলায়

প্রশাসনিক তরফে ভ্রমনার্থীদের পাহাড়ে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেরলের বিখ্যাত হিল স্টেশন মুন্নারে যাওয়াও নিষিদ্ধ। মঙ্গলবার নতুন করে বন্যা হয়েছে মুন্নারে। সরকারি গাড়ি ছাড়া অন্য কোনও গাড়ি শহরে ঢুকে দেওয়া হচ্ছে না। সাবরিমালা হিলেও যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ তার পাস দিয়েই বয়ে যাওয়া পম্মা নদীর জলস্তর বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ওনাম উৎসব। এই অনুষ্ঠানের জন্য যে ৩০ কোটি টাকা খরচ করার কথা ছিল সরকারের তা মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে জমা করা হয়েছে।

রাজ্যের পাশে ও মানুষের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেরলের বন্য পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হয়ে যাওয়ার পিছনে রয়েছে জলাধারগুলো থেকে জল ছাড়া। এ দিনও জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে। জল স্তর এতটা বেড়ে গিয়েছিল যে না ছেড়ে উপায় ছিল না। কোচি বিমানবন্দরের মুখপাত্র এ দিন জানিয়েছেন, ‘’১৮ অগস্টদুপুর ২টো পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হচ্ছে। কারণ ভিতরে জল জমে রয়েছে। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত জল সরিয়ে ফেলার। এ দিনও আরও দুটো জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে। তার মধ্যে একটি ইদুক্কি জলাধার। একসঙ্গে দুটো জলাধার থেকে জল ছাড়ায় কিছুটা সামলে নেওয়া বন্য পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।