কেরল ভাসছে, প্রবল ধসে ইদুক্কিতে মৃত্যু অনেকের

কেরল

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কেরল আবার প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। এ বার বৃষ্টির জন্য কেরলের ইদুক্কি জেলায় শুক্রবার বড়সর ভূমিধসে প্রান গিয়েছে অনেকের। এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে তাতে ধসের কবলে পড়ে প্রান গিয়েছে কম করে ১৩ জনের। ১২ জনকে সেই ধসের এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সকলেরই চিকিঠসা চলছে মুন্নারের টাটা জেনালের হাসপাতালে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনাটি ঘটে জেলার রাজামালাই এলাকায়। যা মাত্র রাজ্যের বিখ্যাত ভ্রমণ স্থান মুন্নার থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

সেই এলাকায় ৭০-৮০ জন মানুষের বাস ছিল। কিন্তু প্রশাসন এখনও জানে না ধসের নিচে আর কতজন আটকে রয়েছেন। উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে সঙ্গে সঙ্গেই। কিন্তু বৃষ্টির জন্য তা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

এই অঞ্চলের সঙ্গে যোগাটোগ স্থাপনকারী ব্রীজ বৃহস্পতিবার জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল। যে কারণে সেই এলাকায় পৌঁছনোটাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় বৃষ্টির মধ্যে সেখানে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে উদ্ধারকারী দলের।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, ৫০ সদস্যের রাজ্য ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ টাস্কফোর্সকে রাতে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য সব রকমের ব্যবস্থা করে তৈরি রাখা হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারও চাওয়া হয়েছে উদ্ধার করে স্থানান্তরিত করার জন্য।

ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল ডিজাস্টার দল ঘটনার স্থানে পৌঁছেছে। দ্বিতীয় দল রয়েছে ত্রিসুরে। এ ছাড়া রাজ্যের পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও ফরেস্ট ও রেভিনিউ অফিসিয়ালদেরও রেসকিউ অপারেশনে হাত লাগাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল মেডিক্যাল টিমসহ ১৫টি অ্যাম্বলেন্স ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে ইদুক্কিতে। যদি আরও প্রয়োজন হয় তাও তৈরি রয়েছে। আসপাশের সব হাসপাতালকে তৈরি রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে কেরালায়। গোটা রাজ্য জুড়ে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবারও প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। ইদুক্কি জেলার নিচু অংশে বন্যা দেখা দিয়েছে। মুন্নারেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন রাস্তা।

ইদুক্কি ছাড়াও এর্নাকুলাম, ওয়াইনাদ জেলায়ও। নদীতে জল ক্রমশ বাড়ছে টানা তিন ধরে বৃষ্টি চলার ফলে। যা চলবে আরও দু’দিন বলে জানা গিয়েছে।

(দেশের আরও খবরের জন্য এখানে ক্লিক করুন)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)