আবারও মসনদে অরবিন্দ কেজরীবাল, জিতে নিলেন দিল্লিবাসীর মন

আবারও মসনদে অরবিন্দ কেজরীবালআবারও মসনদে অরবিন্দ কেজরীবাল

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আবারও মসনদে অরবিন্দ কেজরীবাল, শেষ পর্যন্ত ৬২ আসন জিতে তৃতীয় বারের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। মঙ্গলবার সকালেই ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভার ফলগণনা শুরু হয়। বেলা একটু গড়াতেই হিসেবটা মোটের উপর স্পষ্ট হতে শুরু করে। বোঝা যেতে থাকে আবারও মসনদে অরবিন্দ কেজরিবাল আসতে চলেছেন। দিনের শেষে ৬২টি আসন গিয়েছে তাঁর দল আম আদমি পার্টির ঝুলিতে।

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল, রাজধানী থেকে প্রায় ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। একটি আসনও তারা পায়নি। আর গত বারের ৩ থেকে ৫টি আসন বাড়িয়ে বিজেপির ঝুলিতে এসেছে ৮টি কেন্দ্র। ভোট শতাংশের হিসেবেও বিজেপি কিছুটা গত বিধানসভা নির্বাচনের থেকে বাড়িয়েছে। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে যে ভাবে গোটা দিল্লিতেই বিজেপি এগিয়ে ছিল, এ দিনের ফল তার সঙ্গে একেবারেই মেলেনি। বরং গত শনিবার দিল্লি ভোটপর্ব মিটতেই যে বুথ-ফেরত সমীক্ষার হিসেব দিয়েছিল বিভিন্ন সংস্থা, এ দিনের ফল সেই সমীক্ষাকেই মান্যতা দিয়েছে।


এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন

জল, বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা থেকে শুরু করে মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে সরকারি বাস— গত পাঁচ বছরে দিল্লিবাসীর মন জয় করতে একের পর এক সরকারি প্রকল্পের কাজ করে গিয়েছেন কেজরীবাল। জনমুখী সেই প্রকল্পগুলি কী? যেমন ২০১৫ সালের নির্বাচনী ইস্তাহারে কেজরীবাল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দিল্লিবাসীর জন্য ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল মকুব করবে। মহিলাদের জন্য সরকারি বাসে বিনামূল্যে সফর এবং তাঁদের নিরাপত্তায় বাসে মার্শাল নিয়োগ করা হবে। বিনা পয়সায় প্রতিদিন ৭০০ লিটার পর্যন্ত জল দেওয়া হবে। সে সব প্রকল্প বাস্তবে করে দেখিয়েছে দিল্লির সরকার। নতুন অনেক স্কুল তৈরি হয়েছে, পুরনো স্কুলগুলির খোলনলচে বদলে আধুনিক রূপ দেওয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কার্যত যুগান্তকারী বিপ্লব এনেছে কেজরীবালের মহল্লা ক্লিনিক মডেল। এই ক্লিনিকগুলিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা তো বটেই ওষুধও দেয় সরকার। এই মহল্লা ক্লিনিকগুলি পরিদর্শন করেছে ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা। এই সব সংস্থাও এই ক্লিনিকগুলির দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছে। এ বারের নির্বাচনে সিএএ থেকে এনআরসি বা শাহিন বাগের মতো ইস্যুতেই তিনি কোনও ভাবেই নাক গলাতে চাননি। জবাব দেননি শাহিন বাগ নিয়ে বিজেপি মন্তব্যেরও। শুধু উন্নয়নের বাজনাই শুনিয়েছেন ভোটপ্রচারে। এ দিন সে সবেরই ফল পেয়েছেন কেজরীবাল, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)