করুণানিধির শেষকৃত্য: অবশেষে সমাহিত করা হল মেরিনা বিচেই

করুণানিধির শেষকৃত্যকরুণানিধিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি নরেন্দ্র মোদীর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: করুণানিধির শেষকৃত্য হল চেন্নাইয়েই মেরিনা বিচে। সেখানেই বুধবার তামিলনাড়ুর অন্য কয়েক জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁকে সমাহিত করা হয়। শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। ছিলেন দেশের তাবড় সব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

এ দিন সকাল থেকেই চেন্নাইয়ের রাজাজি হলে শায়িত ছিল ‘কলাইনার’ এম করুণানিধির দেহ। সেখানেই তাঁকে সকালে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজাজি হলের বাইরে এ দিন এত ভিড় হয় যে, পদপিষ্ট হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

‘কলাইনার’কে কোথায় সমাহিত করা হবে, তা নিয়ে মঙ্গবার তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই জটিলতা তৈরি হয়। করুণানিধির দল এডিএমকে শাসক দল এআইএডিএমকে-র কাছে আবেদন জানায় তাঁদের নেতাকে যেন মেরিনা বিচে সমাহিত করতে দেওয়া হয়। কিন্তু, শাসক দল সে আবেদনে সাড়া দেয়নি। এর পর মাদ্রাজ হাইকোর্টে এ নিয়ে মামলা দায়ের হয়।

মারা গেলেন ডিএমকে সুপ্রিমো এম করুণানিধি

ওই রাতেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বাড়িতেই বিশেষ আদালত বসে। সেখানে আদালত রায় দেয়, করুণানিধিকে মেরিনা বিচে সমাহিত করা যাবে।

কিন্তু, হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এক ট্রাফিক রামচন্দ্রণ নামে এক ব্যক্তি। এ দিন সুপ্রিম কোর্ট সাতসকালেই সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। ফলে মেরিনা বিচে ‘কলাইনার’কে সমাহিত করার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকেনি। এ দিন মেরিনা বিচেও হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখা যায়।

সারা জীবন করুণানিধিকে দেখা গিয়েছে কালো চশমা এবং কাঁধের উপর হলুদ চাদরে। এ দিন শেষযাত্রায় তাঁর শরীর মুড়ে দেওয়া হয় জাতীয় পতাকায়। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে সংসদের দু’কক্ষেই অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়।

তামিলনাড়ুর পাঁচ বারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন করুণানিধি। তাঁর মৃত্যুতে এ দিন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী একটি শোকবার্তা পাঠিয়েছেন করুণানিধির ছেলে স্ট্যালিনকে। সেখানে সনিয়া লিখেছেন, ‘উনি আমাদের পিতৃস্থানীয় ছিলেন’।

করুণানিধি গুরুতর অসুস্থ শুনেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চেন্নাই উড়ে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তিনি পৌঁছনোর আগেই করুণানিধির মৃত্যু হয়।

এ দিন করুণানিধিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে চেন্নাই গিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী, উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর, সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব, আরজেডি নেতা সাসুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তথা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব-সহ অনেক নেতা।