সেনার প্রান বাঁচিয়ে হাত খুইয়েছিলেন, ১০ বছর পর কেরালা নির্বাচনের মুখ জ্যোতি

সেনার প্রান বাঁচিয়ে হাত খুইয়েছিলেনজ্যোতি পরিবার ও দলের কর্মীদের সঙ্গে। ছবি—কেরালা রাজ্য বিজেপির সভাপতি কে সুরেন্দ্রনের টুইটার থেকে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সেনার প্রান বাঁচিয়ে হাত খুইয়েছিলেন ১০ বছর আগে। পরবর্তী সময়ে সেই সেনার সঙ্গে ঘর বাঁধেন ৩০ বছরের জ্যোতি। এবার সেই ডাকাবুকো মেয়েই নির্বাচনের মঞ্চে। আগামী ১০ ডিসেম্বর কেরালার স্থানীয় নির্বাচনে বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করবেন জ্যোতি।  ছত্তিশগড়ের জ্যোতির জীবনকাহিনী অনেকটাই সিনেমার মতো। এখন তিনি পুরোপুরি মালয়ালি। স্থানীয় মানুষদের মতই সেই ভাষা তিনি বলতে পারেন।

২০১০-এর ৩ জানুয়ারির ঘটনা। যখন এক্কেবারে বদলে গিয়েছিল তাঁর জীবন। বদলে গিয়েছিল আসপাশের মানুষগুলো। হারিয়ে ফেলেছিলেন ডানহাত। ছাড়তে হয়েছিল নাসিং নিয়ে বিএসসি পড়া। তিনি বিয়ে করেন বিকাশকে। চলে আসেন কেরালায়। বিকাশের পরিবার খুব ভাল মনে তাঁদের মেনে নিয়েছিল।

জ্যোতির মুখেই শোনা গেল ১০ বছর আগের সেই ঘটনার কথা। তিনি জানান, কলেজের হোস্টেল থেকে বাসে করে যাচ্ছিলেন। বিকাশ বাসের সামনের সিটে বসেছিলেন। তিনি দান্তেওয়াড়ায় তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে ক্যাম্প ফিরছিলেন। ফেরার সময় বাসে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।

ঘুমন্ত অবস্থায় বিকাশ খেয়ালই করেননি তাঁর মাথা জানলা দিয়ে বাইরে চলে গিয়েছে। দেখতে পান জ্যোতি। একই সঙ্গে তিনি দেখতে পান একটি ট্রাক দুরন্ত গতিতে সেই দিক দিয়েই ছুটে আসছে। বুঝতে পারেন ট্রাকও নিয়ন্ত্রণে নেই। পিছনের সিটেই বসে ছিলেন জ্যোতি। ঝাঁপিয়ে পড়ে বিকাশকে জানলা থেকে সরিয়ে দেন তিনি কিন্তু তাতে গুরুতর আঘাত লাগে তাঁর ডানহাতে।

ডানহাত হারিয়ে ফেলেন কিন্তু সেই দুর্ঘটনাই তাঁর সঙ্গে মিলিয়ে দেন তাঁর জীবনসঙ্গীকে। তাঁকেই বিয়ে করেন আর এখন তিনি কেরালার বৌ নন বরং মেয়ে হয়ে গিয়েছেন। জ্যোতি জানান, তিনি নরেন্দ্র মোদীকে দেখে রাজনীতিতে আগ্রহী হন। যে কারণে পার্টির তরফে আবেদনটা আসার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি আর দ্বিতীয়বার  ভাবেননি। স্বামীর সমর্থণও পেয়ে গিয়েছেন দুই সন্তানের জননী। আর তাঁর জীবনের গল্পই তাঁকে জনসেবা করার রাস্তা খুলে দেবে বলে মনে করছে স্থানীয় নেতৃত্ব।

(দেশের সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)