জোশীমঠে তুষারধসে বন্ধ টানেল থেকে ৩৯ জনের প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা

উত্তরাখণ্ড বন্যায় মৃতের সংখ্যা

জাস্ট দুনিয় ডেস্ক: জোশীমঠে তুষারধসে বন্ধ টানেল থেকে সারাদিন ধরে বের করা হয়েছে কাদা মাটি। যার ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে টানেলের মুখ। মুখ খোলা গেলেও পুরো টানেলের ভিতরেই জমে রয়েছে কাদা-মাটির স্তুপ। মনে করা হচ্ছে ওই টানেলের ভিতর আটকে রয়েছেন প্রায় ৩৯ জন শ্রমিক। আর তাঁদেরই উদ্ধার করতে চলছে চেষ্টা। তাতে হাত লাগিয়েছে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিল বাহিনী, সেনাবাহিনী, উত্তরাখণ্ড পুলিশ। সঙ্গে সাহায্যে নেমেছে স্থানীয় মানুষরাও। যদি বাঁচিয়ে ফেরানো যায় টানেলের ভিতর থেকে কাউকে।

রবিবার সকালে চামোলি জেলায় হিমবাহ ভেঙে নদীর জল ফুলে ফেপে ওঠে এবং তীব্র গতিতে ছড়িয়ে পড়ে জনবসতীপূর্ণ এলাকায়। যার ফলে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তপোবন জলবিদ্যুৎ কে‌ন্দ্র। পুরো প্রকল্পটাই প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। প্রাণ গিয়েছে সেই প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকদের। টানেলের মধ্যে যাঁদের আটকে থাকার কথা বলা হচ্ছে তাঁরা সকলেই এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মী।

আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলের একদিকের মুখ পর্যন্ত পৌঁছনো গেলেও উল্টোদিকের মুখের কাছে পৌঁছনো যায়নি। আর তাতেই আশার আলো দেখছে উদ্ধারকারীরা। এমনিতেই টানেলের ভিতর অক্সিজেনের অভাব তার মধ্যেই দ্রুততার সঙ্গে সরানো হচ্ছে জমে থাকা কাদা-মাটি। ১২ ফুট উঁচু ও ১৫ ফুট চওড়া এই টানেলের ভিতরেই সেই সময় কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। তাঁরা আর বেরতে পারেননি।

তাঁদের কথা ভেবেই খুব সাবধানে উদ্ধার কাজ চালাতে হচ্ছে। কে কোথায় আটকে রয়েছেন তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই।তবে উদ্ধারকাজে তৎপড়তার জন্য আনা হয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্র। বাইরে রাখা হয়েছে চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা যাতে কাউকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গেলে যেন সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়।

রবিবার রাতে কিছুক্ষণের জন্য উদ্ধারাজ বন্ধ করা হলেও সোমবার আবার আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় কাজ চলে রাত পর্যন্ত। এর আগে অন্য টানেল থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল ১২ জনকে। সেটাই আশা দেখাচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে।যদিও নিখোঁজের সংখ্যা ২০০-র উপরে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৮ জনের।

(আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)