জোশীমঠে তুষারধস, মুহূর্তে ভেসে গেল একের পর এক গ্রাম

জোশীমঠে তুষারধস

জাস্ট দুনিয় ডেস্ক: জোশীমঠে তুষারধস ভাসিয়ে নিয়ে গেল একের পর এক গ্রাম। চোখের নিমেশে নিশ্চিহ্ণ হয়ে গেল কত মানুষ। ফিরে এল ২০১৩-র কেদারনাথের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি। মুহূর্তের মধ্যে জলের তোড়ে ভেসে গেল সব। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় এই তুশারধসের ফলে ধৌলীগঙ্গা, ঋষিগঙ্গা ও অলকানন্দার জলস্তর ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে যায়। তার ফলেই নদীর জল তার সীমা ছাড়িয়ে সমতলে ঢুকে পড়ে প্রচন্ড গতিতে। এমন কোনও পূর্বাভাস না থাকায় কেউ এই বিপদের জন্য তৈরি ছিল না।

রবিবার সকালে হঠাৎ করে আসা বন্যায় ১৭০ জন নিখোঁজ হয়ে যায়। তার মধ্যে ১০ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে নিখোঁজরা আর কেউ বেঁচে নেই। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। যা তৈরি হয়েছিল ঋষিগঙ্গা নদীর উপর। যা পুরোটাই প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আশঙ্কা সেখানে কর্মরত আর কেউই বেঁচে নেই। নিখোঁজ সকলেই সেই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের শ্রমিক।

ঘটনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই নদীর আসপাশের গ্রাম খালি করে দেওয়া হয়। ততক্ষণে অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। সেখানে আটকে পড়া ভ্রমণার্থীদের হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করা হয়। উত্তরাখণ্ডের  পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের নদী তীরবর্তী এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যে ভাবে তীব্র গতিতে পাহাড় থেকে জল নিম্নমুখি ছিল তাতে সমতলেও জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল।


হরিদ্বার, ঋষিকেশে ভ্রমণার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয়দেরও নদীর পাশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সবাইকে। ঘটনাস্থলে সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকার্যে নেমে পড়ে বায়ুসেনা, ভারত-তিব্বত সীমান্তররক্ষী বাহিনী, আইটিবিপি, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত দুপুরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছল।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে সব রকম সাহায্যের কথা জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহও জানিয়েছেন, কেন্দ্র নজর রাখছে পুরো ঘটনার দিকে। সব রকম সাহায্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্রুত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পাঠানোর ব্যবস্থা করে কেন্দ্র।

হেল্প লাইন নম্বর:  ১০৭০ এবং ৯৫৫৭৪৪৪৪৮৬

(আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)