জোশীমঠে তুষারধসের কারণ কি হারানো রেডিও অ্যাকটিভ ডিভাইস

বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ড

জাস্ট দুনিয় ডেস্ক: জোশীমঠে তুষারধসের কারণ নিয়ে শুরু হয়েছএ নতুন জল্পনা। ১৯৬৫ সালে নন্দাদেবীতে এক সিক্রেট এক্সপিডিশনের সময় হারিয়ে যায় সেই ডিভাইস। পরবর্তী সময়ে বার বার খুঁজে তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উত্তরাখণ্ডে রবিবারের তুষারধসস্থানীয়দের মধ্যে সেই প্রশ্ন আবার নতুন করে তুলে দিয়েছে। ঘটনাস্থলের সব থেকে কাছের গ্রাম রেইনি। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এই গ্রামই। সেই গ্রামের মানুষরাই এই ডিভাইসের কথা বলছেন।

জানা যাচ্ছে সিআইএ ও আইবি-র উদ্যোগে চিনের উপর নজর রাখতে এই নন্দাদেবী এক্সপিডিশনের পরিকল্পনা করেছিল ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কাঞ্নজঙ্ঘায়। সেই সময় আবহাওয়া খারাপ হয়ে যাওয়ায় তা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়‌নি। মাঝ পথ থেকেই ফিরে আসতে হয়। কিন্তু ফিরে আসার সময় সে ই রেডিও অ্যাক্টিভ ডিভাইস সেখানেই রেখে আসা হয় পাহাড়ের পাদদেশে।

এক বছর পর আবার যখন সেই এক্সপিডিশন শুরু করা হয় তখন আর সেই ডিভাইসটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর পর সেই ডিভাইস খুঁজতে আলাদা করে এক্সপিডিশনের ব্যবস্থাও করা হয়। কিন্তু তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেই রেডি‘ অ্যাকটিভ ডিভাইসের আয়ু ছিল ১০০ বছর। তার মানে আজও সেটা জীবিত। এবং মনে করা হচ্ছে সেটি এখনও ওই এলাকাতেই রয়েছে।

রবিবার যে জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছে চামোলি জেলার বিস্তির্ণ এলাকা তার মধ্যে অন্যতম রেইনি গ্রাম। টাইমস অব ইন্ডিয়া ওয়েবসাইটের খবর অনুযায়ী সেই গ্রামের মানুষদের দাবি যখন জলোচ্ছ্বাস হয় তখন তীব্র একটি গন্ধে ছেয়ে গিয়েছিল এলাকা। কাদা-মাটি-জল উপর থেকে গড়িয়ে নামছিল ঋষিগঙ্গা নদীতে।

স্থানীয় দেবেশ্বরী দেবী, যাঁর ৯০ বছরের স্বামী এই বন্যায় প্রান হারিয়েছে‌ন। তিনি বলছিলেন, ‘‘গন্ধটি খুব তীব্র ছিল। সেই সময় শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। কাদা-মাটি-বরফ থেকে এমন গন্ধ আসতে পারে না। এটাই আমাদের গ্রামের মাথায় চিন্তা ঢুকিয়ে দিয়েছে দীর্ঘদিন আগে হারিয়ে যাওয়া রেডিও অ্যাকটিভ ডিভাইসের কথা। যার কথা আমরা আমাদের বড়দের থেকে শুনেছিলাম। হতে পারে সেটাই এই ধ্বংসের পিছনে রয়েছে।’’

মনে করা হচ্ছে সেই ডিভাইস যদি বরফের নিচে কোথাও থেকে থাকে এবং এর রেডিয়েশন যদি সচল থাকে তাহলে আরও বরফ গলবে। তাতে নতুন করে তুষারধসের সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের কাছে গ্রামের তরফে দ্রুত সেটি খোঁজার অনুরোধ জানানো হয়েছে। আবার নতুন করে এমন ঘটনা ঘটার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই মনে করছেন গ্রামবাসীরা।

২০১৮তে ট্যুরিজমমন্ত্রী সতপাল মহারাজ এই রেডিও অ্যাকটিভ ডিভাইস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এই নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও করেছিলেন। তাঁর মত ছিল, এই ডিভাইসটি নন্দাদেবী রেঞ্জের বরফকে দুষিত করছে। এবং তা গঙ্গায় গিয়ে মিশছে।

(আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)