মস্কোয় এ বার জয়শঙ্কর, বৈঠক হতে পারে চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে

মস্কোয় এ বার জয়শঙ্কর

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মস্কোয় এ বার জয়শঙ্কর যাচ্ছেন। আগামী সপ্তাহেই তিনি সাংহাই কো-অপারেশনে যোগ দেবেন। সেই সময়েই ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠকে বসতে পারেন চিনা বিদেশমন্ত্রী তথা স্টেট কমিশনার ওয়াং ই-র সঙ্গে। মস্কোয় এ বার জয়শঙ্কর যে চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন, সে ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকই।

এর আগে গত বৃহস্পতিবারই তিন দিনের সফরে মস্কোয় গিয়েছিলেন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সাংহাই কো-অপারেশনে যোগ দিয়ে তিনি পার্শ্ববৈঠক করেছিলেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফংহ-এর সঙ্গে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর উদ্দেশে গত বৃহস্পতিবার মস্কোয় চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফংহ-এর সঙ্গে ওই বৈঠকে রাজনাথ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-য় স্থায়ী শান্তি ফেরাতে সেখান থেকে পুরোপুরি সেনা পিছনো এবং সেনার সংখ্যা কমানোর প্রস্তাব দেন।


দেশের আরও খবরের জন্য এখানে ক্লিক করুন

কিন্তু চিনের সেনা যে পিছু হটবে না, তার ইঙ্গিত দিয়ে বেজিং হুঙ্কার দিয়েছে, ‘চিন এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ও অখণ্ডতা বজায় রাখতে চিনের সেনাবাহিনী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, সক্ষম ও আত্মবিশ্বাসী।’ তবে প্রকাশ্যে চড়া সুর বজায় রাখলেও দু’পক্ষই আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে। সেই সূত্র মেনেই এ বার বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবহে আগামী সপ্তাহে ওয়াং-জয়শঙ্কর বৈঠক নতুন মাত্রা পেতে পারে বলে বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন।

গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াংয়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন জয়শঙ্কর। একা জয়শঙ্কর নন, সেই সংয় কতা বলেছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তারই প্রেক্ষিতে এলএসি-তে উত্তেজনা কমাতে মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছিয়ে বাফার জোন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এর পর রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের উপস্থিতিতে গত ২৩ জুন ত্রিপাক্ষিক ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করেন করেন জয়শঙ্কর এবং ওয়াং। গত ৫ জুলাই চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন অজিত ডোভালও।

তবে ৩০ অগস্টের পর থেকে প্যাংগং লেকের দক্ষিণে সব ক’টি উঁচু এলাকাতেই ভারতীয় সেনা ঘাঁটি গেড়ে বসেছে। থাকুং সেনাঘাঁটির অদূরে হেলমেট এলাকা থেকে রেচিন লা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকা থেকে চিনা ফৌজের গতিবিধির উপর নজর রাখছে সেনা। সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কালা টপ, মুকপরী এবং রেজাংলাতেও ভারতীয় সেনা ঘাঁটি গেড়েছে। ফলে প্যাংগংয়ের দক্ষিণে স্পাংগুর হ্রদ লাগোয়া উপত্যকায় মোতায়েন চিনা বাহিনীও চলে এসেছে নাগালের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে চিন ওই এলাকাগুলি থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)