হায়দরাবাদ-কাণ্ডে জয়া বচ্চন বললেন, ওদের পিটিয়ে মারা উচিত!

হায়দরাবাদ-কাণ্ডে জয়া বচ্চনহায়দরাবাদ-কাণ্ডে জয়া বচ্চন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হায়দরাবাদ-কাণ্ডে জয়া বচ্চন বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন। তেলঙ্গানার পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীদের জনসমক্ষে পিটিয়ে মারা উচিত বলে সংসদে মন্তব্য করলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ তথা অভিনেত্রী জয়া বচ্চন।

বুধবার রাতে তেলঙ্গানায় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। ঘটনায় চার অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ওই চিকিৎসকের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের মতোই ধৃতদের কঠোরতম শাস্তির দাবি উঠেছে সারা দেশ থেকে।


দেশের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন

এ বার তার আঁচ লেগেছে সংসদেও। কেউ চেয়েছেন মৃত্যুদণ্ড, কারও দাবি পিটিয়ে মারা হোক, কেউ আবার বলেছেন লিঙ্গচ্ছেদ করা হোক অপরাধীদের। কিন্তু সংসদে দাঁড়িয়ে এমন ভাবে গণপিটুনির কথা বলছেন এক জন সাংসদ! এ নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

রাজ্যসভায় প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন জয়াও। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘সরকারের কাছে মানুষ সুনির্দিষ্ট জবাব চাইছে। আপনারা যদি নিরাপত্তা দিতে না পারেন, তা হলে মানুষই বিচার করবে। এই ধরনের লোকজনকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা উচিত।’’

হায়দরাবাদ-কাণ্ডে জয়া বচ্চন রাজ্যসভায় তাঁর বক্তব্যের সময় কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ধরা গলায় বলতে থাকেন, আমি জানি না, কত বার এই ধরনের অপরাধের জন্য বলতে উঠেছি। আমি মনে করি এ বার সময় এসেছে। নির্ভয়া হোক বা কাঠুয়া কিংবা তেলঙ্গানা—মানুষ চায়, সরকার এর সঠিক ও নির্দিষ্ট জবাব দিক। আমি মনে করি, এটাই আদর্শ সময়।’’

পরের মুহূর্তেই এক গুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জয়া বলেন, ‘‘সরকার কী করেছে? কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে? নির্যাতিতারা কি বিচার পেয়েছেন? কারও নাম নিতে চাই না। কিন্তু এর জন্য কি নিরাপত্তা দায়ী নয়? আমার মনে হয়, এক দিন আগেও তেলঙ্গানায় একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। তার পরেও কেন আটকানো গেল না?’’

একই ভাবে লোকসভাতেও এ দিন ধর্ষণ-খুন কাণ্ড নিয়ে সরব হন বিরোধী সাংসদরা। আইনশৃঙ্খলা ও মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে সরব হন সব দলের সাংসদ। এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে বলেন, ‘‘লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা উচিত নয়।’’

অন্য দিকে সরকার পক্ষের তরফে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহও ঘটনার নিন্দা করে বলেন, ‘‘ধর্ষণ আইন আরও কঠোর করতে সরকার আলোচনার জন্য প্রস্তুত। আরও কঠোর আইনের জন্য যদি সহমত হয়, সরকার সেটা প্রণয়ন এবং প্রয়োগ করতে প্রস্তুত।’’

তবে এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার স্পিকার ওং বিড়লার উপরেই ছেড়েছেন।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)