জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: জম্মু বিমান বন্দরে বিস্ফোরণ নতুন করে রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। শনিবার মাঝরাতে ঘটে এই ঘটনা। যার ফলে প্রানহানি ঘটেনি। এবং বিস্ফোরণের তেজ তেমন বেশি না থাকায় বিমান বন্দরেরও তেমন ক্ষতি হয়নি বলে জানানো হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে এই বিস্ফোরণ কিসের ইঙ্গিত। জম্মু বিমান বন্দরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় এয়ার ফোর্স স্টেশনে। শনিবার রাত দুটো নাগাদ এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানানো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে পৌঁছন ন্যাশনাল বম্ব ডাটা সেন্টারের বিশেষজ্ঞরা। পৌঁছন ফরেন্সিক দলও।
প্রথম বিস্ফোরণের কয়েক মিনিটে মধ্যেই হয় দ্বিতীয় বিস্ফোরণ। চূড়ান্ত নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা বিমান বন্দরের ভিতরে কী করে বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব হল এই মুহূর্তে তাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্বাভাবিক সময় হলে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারত। প্রশ্ন উঠছে ব্যস্ত সময়ে এই বিস্ফোরণ না ঘটিয়ে কেন মধ্যরাতে করা হল। তাহলে কি এটা কোনও আগাম ইঙ্গিত বা সাবধানবার্তা।
একটি বিস্ফোরণের ফলে টেকনিক্যাল বিভাগের যে বিল্ডিং তার ছাদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অন্য বিস্ফোরণটি হয় বিমান বন্দরের ফাঁকা জায়গায়। দুটো বিস্ফোরণের মধ্যে দুরত্ব এক কিলোমিটারও ছিল না। বিস্ফোরণের পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বায়ুসেনার ভাইস চিফ এয়ারমার্শার এইচএস আরোরার সঙ্গে কথা বলেন।
Raksha Mantri Shri @rajnathsingh spoke to Vice Air Chief, Air Marshal HS Arora regarding today’s incident at Air Force Station in Jammu. Air Marshal Vikram Singh is reaching Jammu to take stock of the situation.
— रक्षा मंत्री कार्यालय/ RMO India (@DefenceMinIndia) June 27, 2021
রিপোর্টে বলা হয়েছে, মনে করা হচ্ছে ড্রোন আক্রমণ করা হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার শিবিরে এরকম আক্রমণ এর আগে মনে করা হচ্ছে হয়নি। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, এয়ার মার্শার বিক্রম সিং জম্মর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তদন্তের জন্য।
জম্মু বিমান বন্দরের রানওয়ে এবং সাতওয়ারির এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের এলাকা ভারতীয় বায়ু সেনার নিয়ন্ত্রনাধীন। এখান থেকে যাত্রীবাহী বিমানও যাতায়াত করে। এদিনই প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং আর্মি চিফ জেনারেল এমএম নারাভানের তিন দিনের লাদাখ সফর শুরু হয়েছে। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এনআইএ-র তদন্তকারী দল। রয়েছে এনএসজির বম্ব স্কোয়াড। এখনও এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে পাঠানকোটসহ বেশকিছু বায়ুসেনার ঘাটিতে। জানা যাচ্ছে রিমোট নিয়ন্ত্রিত ড্রোনের মাধ্যমে এই কাজ করা হয় এবং দীর্ঘক্ষণ এই ড্রোন রাখা ছিল বিমান বন্দরের হেলিপ্যাড এলাকার আশপাশেই। হামলার লক্ষ্য ছিল হ্যাঙ্গার, এয়ার ট্র্যাফিক সিগন্যাল বিল্ডিংয়। যেখানে এমআই-১৭ বিমান ও পন্যবাহী বিমান থাকে।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)