ভারত-চিন জটিল পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে, অজিত ডোভালের কথাতেই কাটল জট

ভারত-চিন জটিল পরিস্থিতিচিনা বিদেশমন্ত্রীর ওয়াং ই এবং

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ভারত-চিন জটিল পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে এ বার। রবিবার চিনা বিদেশমন্ত্রীর ওয়াং ই-র সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রবিবারের ওই ভিডিও-কল বার্তালাপেই কেটেছে জট। সোমবার সেই বার্তাই দিয়েছে ভারত ও চিন— দু’দেশেরই বিদেশ মন্ত্রক।

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে ওই দিন চিনা বিদেশমন্ত্রী তথা স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ইর প্রায় দু’ঘণ্টা ভিডিও-কল চলে। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয় গালওয়ান উপত্যকা এবং গোগরার হট স্প্রিং এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেবে চিন। এ দিন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই বৈঠকে দু’দেশের নেতৃত্ব ঐকমত্যের ভিত্তিতে সমাধানের পথ খুঁজছে। মতপার্থক্য যাতে বিতর্কে পরিণত না হয়, তা নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানানো হয়। বিদেশ মন্ত্রকের ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ডোভাল এবং ওয়াং বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে খোলামেলা ভাবে পশ্চিম সেক্টরের পরিস্থিতির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।


বিদেশের আরও খবরের জন্য এখানে ক্লিক করুন

ভারতের পাশাপাশি চিনের বিদেশ মন্ত্রকও এ দিন বিবৃতি জারি করেছে। রবিবারের বৈঠকের পরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-য় উত্তেজনা প্রশমনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতির কথা বলেছে তারা। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উত্তেজনা প্রশমন এবং সেনা অবস্থান সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ করা শুরু করেছে।

গালওয়ান উপত্যকায় ১৫ জুনের সংঘর্ষস্থল থেকে এক কিলোমিটার সেনা পিছনোর বিষয়ে ডোভালের প্রস্তাব চিনা বিদেশমন্ত্রী মেনে নেন বলে এ দিন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। সেই দিশা নির্দেশ মেনেই শুরু হয়েছে দুই সেনার ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া।

মে মাসে পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন এলএসি পেরিয়ে চিনা ফৌজ ঢুকে পড়েছিল। একাধিক বার ডিভিশন কমান্ডার স্তরের বৈঠকেও জট কাটেনি। ৬ জুন কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকে উত্তেজনা কমাতে সেনা পিছনোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যকরের সময়েই গালওয়ানের পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪-য় প্রাণঘাতী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। এর পরে ২২ এবং ৩০ জুন দু’দফায় চুসুল সীমান্ত লাগোয়া চিন নিয়ন্ত্রিত মলডোতে ম্যারাথন বৈঠক করেন লেহ্‌তে মোতায়েন ১৪ নম্বর কোরের কমান্ডার হরেন্দ্র সিং এবং পিপলস লিবারেশন আর্মির দক্ষিণ শিনজিয়াং মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট কমান্ডার লিউ লিন। আলোচনা হয়েছিল বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং ওয়াংয়ের মধ্যেও। কিন্তু তার পরেও বিভিন্ন বিদেশি উপগ্রহ চিত্রে গালওয়ানে চিনা ফৌজের শিবির তৈরি করা এবং যানবাহন ও সামরিক সরঞ্জাম জড়ো করার প্রমাণ মিলেছিল।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)