জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কেরলের জন্য নয়া পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বাড়ালেন সাহায্যের হাত। টুইট করে তিনি ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কেরলের পাশে দাঁড়াতে চেয়ে জানিয়ে দিলেন, দুর্গতদের জন্য পাকিস্তান প্রয়োজনীয় সব রকমের সাহায্য করতে প্রস্তুত।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কাতার, তাইল্যান্ড এবং মলদ্বীপের পর এ বার পাকিস্তানও বন্যা বিধ্বস্ত কেরলে পুনর্গঠনের কাজে সাহায্যের কথা ঘোষণা করল। গত ১৮ অগস্ট, শনিবার পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন ইমরান খান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা আটটা নাগাদ তিনি একটি টুইট করেন। সেখানে ইমরান খান লেখেন, ‘ভারতের কেরলে ভয়াবহ বন্যায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের জন্য পাকিস্তানের সকল নাগরিকের তরফে শুভেচ্ছা এবং প্রার্থনা জানাই। আমরা প্রয়োজনীয় সব রকমের মানবিক সাহায্য করতে প্রস্তুত।’
এখনও পর্যন্ত কেরলে বন্যায় মারা গিয়েছেন ২৩৭ জন। কয়েক লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৬০০ কোটি টাকা। তার মধ্যে কেন্দ্র ৬০০ কোটি টাকা সাহায্য করবে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু, তার পরেও বাকি থেকে যাবে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা। তা হলে পুনর্গঠনের কাজ হবে কী ভাবেঢ় এই পরিস্থিতিতে কেরলের পাশে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন রাজ্য, সংগঠন। ব্যকাতিগত উদ্যোগেও ত্রাণ তহবিলের জন্য টাকা তোলার কাজ শুরু করেছেন প্রচুর মানুষ। কিন্তু, তাতেও লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না।
On behalf of the people of Pakistan, we send our prayers and best wishes to those who have been devastated by the floods in Kerala, India. We stand ready to provide any humanitarian assistance that may be needed.
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) August 23, 2018
এর মধ্যেই আরব আমিরশাহি ৭০০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করে। কিন্তু, ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বুধবার রাতে জানিয়ে দেয়, কেরলের শোচনীয় বন্যার পরে বিভিন্ন দেশ যে ভাবে ভারতকে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমাদের নীতি অনুসারে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে ত্রাণ ও পুনর্গঠনের ব্যবস্থা আমরা নিজেরাই করি। বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা যদি কেরলের মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান, দাঁড়াতেই পারেন। কোনও ভারতীয় সংগঠন যদি সাহায্য করতে চায়, করতে পারে। বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত ছাড়পত্র রয়েছে, এমন কোনও ভারতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকেও সাহায্য করা যেতে পারে।
এসি টু টিয়ার কামরা এ বার থেকে বন্ধ হয়ে যাবে? যাত্রী কমে যাওয়াই কারণ
তাইল্যান্ড, মলদ্বীপ, কাতারও কেরলের পাশে দাঁড়াতে চেয়ে কেন্দ্রকে জানায়। কিন্তু, বেসরকারি ভাবে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, এমন পরিস্থিতিতে বিদেশি সাহায্য ভারত নেয় না, নেবেও না। এর পর কেরলের জন্য নয়া পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান-এর প্রস্তাবও যে গৃহীত হবে না, তা-ও স্পষ্ট।