হায়দরাবাদ রেপ ও খুনে অভিযুক্তের মৃত্যু, রেল লাইন থেকে উদ্ধার দেহ

হায়দরাবাদ রেপ ও খুনে অভিযুক্তের মৃত্যু

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হায়দরাবাদ রেপ ও খুনে অভিযুক্তের মৃত্যু-র খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দু’দিন আগেই প্রকাশ্যে তেলেঙ্গার মন্ত্রী মাল্লা রেড্ডি এই অভিযুক্তকে ধরে এনকাউন্টারের হুমকি দিয়েছিলেন। আর তার দু’দিনের মধ্যেই সেই অভিযুক্তের দেহ পাওয়া গেল রেল লাইনে। ওয়ারাঙ্গলের পুলিশের শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, এটা পরিষ্কার আত্মহত্যার ঘটনা বলেই এখনও পর্যন্ত মনে করা হচ্ছে। পুলিশের তরফে অভিযুক্তের দেহের ছবি টুইটারে পোস্ট করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম পাল্লাকোন্ডা রাজু। তিনিই ছিলেন এই শ্লীলতাহানি ও খুনের অভিযুক্ত। তাকে ট্যাটু দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

টুইটারে ডিজিপি তেলেঙ্গানা পুলিশ ছবি পোস্ট করে লেখে, ‘‘সিঙ্গারেনি কলোনিতে শিশু শ্লীলতাহানি ও খুনের অভিযুক্তকে রেল লাইনে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে যা ঘানপুর থানার অধিনে। তার শরীরের চিহ্ন দেখেই তাকে শনাক্ত করা হয়েছে।’’ হায়দরাবাদ পুলিশের শীর্ষকর্তা বলেন, ‘‘এই মৃত ব্যক্তি যে অভিযুক্তই সেটা ভাবার আমাদের কাছে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তার হাতের ট্যাটু, ট্যাটুতে নাম লেখা ছিল, তার চুলের স্টাইল… ফিঙ্গারপ্রিন্ট অ্যানালিসিস নিশ্চিত করবে।’’

রেলের কর্মী তরুণ জোশী জানিয়েছেন, তিনি এক ব্যক্তিকে রেল লাইনের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে দেখেন। এবং তিনি তাঁকে বাঁচানোরও চেষ্টা করেন কিন্তু তার আগে ট্রেন এসে ধাক্কা দিয়ে দেয়। দু’দিন আগে মন্ত্রী মাল্লা রেড্ডি বলেছিলেন, ‘‘আমরা রেপিস্টকে ধরব এবং খুন করব। তাঁকে ধরার পর তাঁকে এনকাউন্টার করা হবে।’’ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে খবর রটে গেলেও পরে জানা যায় তা সত্যি নয়। এর পরই শিশুটির জন্য ন্যায় চেয়ে শুরু হয়ে যায় আন্দোলন।

এক সপ্তাহ আগে, প্রতিবেশি রাজুর বাড়িতে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ৩০ বছরের রাজুর নেশা করে অসংযত ব্যবহার করার অভ্যেস থাকলেও তার কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড ছিল না বলেই জানিয়েছে পুলিশ। তাকে ধরার জন্য ১০ লাখ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। ৯ সেপ্টেম্বর হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় মেয়েটি। সেই দিনই প্রতিবেশির বাড়িতে তার দেহ উদ্ধার হয়। একটি বেডশিটে জড়ানো ছিল। অটপসি রিপোর্টে নিশ্চিত করা হয় তার শ্লীলতাহানি হয়েছে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)