হাথরাস মামলা: ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নেই ধর্ষণের উল্লেখ, উঠছে প্রশ্ন

হাথরাস মামলায় অভিযুক্তের চিঠি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হাথরাস মামলা ঘিরে তৈরি হচ্ছে নানা প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে প্রতিবারের মতই পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। তার মধ্যেই আরও চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেল তরুণীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। যেখানে উল্লেখই করা হল না ধর্ষণ ছিল মেয়েটির। ১৯ বছরের এক মেয়েকে ছিঁড়ে খেল কয়েকজন। সেখানেই শেষ নয়, এরপর সেই শরীরটাকে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে দেওয়া হল। শেষ তো এখানেও হল না। রাতের অন্ধকারের পরিবারের অনুমতি ছাড়াই জ্বালিয়ে দেওয়া হল তাঁকে।

১৪ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। এই তরুণীর উপর খেতের মধ্যে হামলা চালায় চারজন। তিনি ছিলেন দলিত। সেই খেত থেকেই তাঁকে উদ্ধার করে তাঁর পরিবারের লোকেরা। ভর্তি করা হয় স্থানীয় আলিগড় মুসলিম হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে। সেখানেই মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর পর তাঁকে কিছুক্ষণের জন্য বাড়িতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল তাঁর পরিবার। মেয়ের এটাই ছিল শেষ ইচ্ছা। কিন্তু না, পুলিশ তা হতে দেয়নি। মা-এর আর্তনাদ মিশে গিয়েছে পুলিশের হুঙ্কারে। বাবার অনুরোধ কান পর্যন্তই পৌঁছয়নি তাদের। জ্বলে ছাই হয়ে গিয়েছে তাঁদের মেয়ে।


না এখানেই শেষ নয়, এ দিন এসেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, তাঁকে বার বার শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছে যার ফলে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে ঘাড়ের মেরুদণ্ড। ভেঙে গিয়েছিল ঘাড়ের হার। আর সেটাই তাঁর মৃত্যুর কারণ। মেরুদণ্ডের আঘাত, হৃদযন্ত্র অকেজ হয়ে যাওয়া ও সেপসিসের কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু কোথাও উল্লেখ নেই ধর্ষণের। অপেক্ষা ভিসেরা পরীক্ষার রিপোর্টের।

না এখানেই শেষ নয়, এদিন হাথরাসের জেলা শাসক মৃত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে জেলা শাসকের কথোপকথনের ভিডিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে শোনা যাচ্ছে সমবেদনা তো নয়ই বরং উল্টে তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁদের বয়ান বদলের উপদেশ দিচ্ছেন তিনি।

যদিও তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যদিও মৃত্যুর আগে সেই চারজনের নাম তাঁর বয়ানে জানিয়ে গিয়েছেন তরুণী। উত্তর প্রদেশ পুলিশের দাবি ধর্ষণ হয়নি তরুণীর। ফরেন্সিক রিপোর্টে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। অটপসি রিপোর্টেও ধর্ষণের কথা বলা হয়নি। কিন্তু ২২ সেপ্টেম্বর আলিগড় হাসপাতাল জানিয়েছিল, জোর করার চিহ্ন রয়েছে।

তবে প্রশ্ন উঠছে যদি ধর্ষণ না হয়ে থাকে তাহলে তরুণীর প্রাইভেট পার্টসে চোটের চিহ্ন কোথা থেকে এল। দিল্লি হাসপাতালের রিপোর্টেও সে কথা রয়েছে। পুলিশের দাবি, তাঁর শরীরে কোনও স্পার্ম পাওয়া যায়নি।

(দেশের সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)