হাথরাসে রাহুল-প্রিয়ঙ্কা, সিবিআই তদন্তের প্রস্তাব দিলেন যোগী আদিত্যনাথ

হাথরাসে রাহুল-প্রিয়ঙ্কা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হাথরাসে রাহুল-প্রিয়ঙ্কা শেষ পর্যন্ত পৌঁছতে পারলেন। কথা বললেন মৃতার পরিবারের সঙ্গেও। আর সেই দিনই হাথরাস ধর্ষণ মামলা সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গত বৃহস্পতিবার মাঝ রাস্তা থেকেই ফিরতে হয়েছিল রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে। পুলিশের ধাক্কায় পড়েও গিয়েছিলেন রাহুল। সেখান থেকে পুলিশের গাড়িতেই তাঁদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শুক্রবার একই পরিস্থিতির সম্মুখিন হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল। যেখানে ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়ান।

তবে শন‌িবার অনেকটাই সুরু নরম করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি গ্রামে ঢুকে মৃতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারলেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা। যদিও এদিনও সহজ হয়নি তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছনো। উত্তরপ্রদেশ সরকারের থেকে অনুমতি নিয়েই গিয়েছিলেন তাঁরা।

অনুমতি থাকলেও দিল্লি-নয়ডার রাস্তায় আবার তাঁদের পথ আটকায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। আবারও সেই ১৪৪ ধারার প্রসঙ্গ টেনে আনা হয়। সেখানে ১৪৪ ধারার চলছে গত কয়েকদিন। ঢুকে না দেওয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ার কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। সেখানেই শুরু হয়ে যায় এক কথায় কংগ্রেসের সভা। বেশ কিছুক্ষণ পর তাঁদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা। তাঁদের অভিযোগ মন দিয়ে শোনেন।

তার রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘কোনও শক্তিই তাঁদের হাথরাসে যাওয়া আটকাতে পারবে না। যেখানেই অন্যায় দেখব আমরা সেখানে থাকব যাতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়।’’

এদিন দিল্লি থেকে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী হাথরাসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন দুপুর ২.৩০ নাগাদ। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ৩০ জনের কংগ্রেস প্রতিনিধি দল।  ছিলেন শশী থারুর। পুলিশের বাধা পেরিয়ে ২০০ কিলোমিটার দূরের হাথরাসে পৌঁছতে রাত হয়ে যায় তাঁদের। আগে থেকেই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল বর্ডারে। শেষ পর্যন্ত তাঁদের বাড়িতে ঢোকেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, রাহুল গান্ধী, কেসি ভেনুগোপাল ও অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

এদিনই সেই পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে মৃতার বাড়িতে গিয়েছিলে্ন পুলিশ ও সরকারের বড় মাথারা। শুক্রবারই চাপের মুখে সাসপেন্ড করা হয়েছে পাঁচ পুলিশকর্মীকে। তার মধ্যে রয়েছেন পুলিশ সুপারও। শুক্রবার রাতে শেষ পর্যন্ত রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। প্রথম দিন থেকেই সিট তদন্ত শুরু করেছিল। তাঁদেরই প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত।

শুক্রবার হাথরাস ধর্ষণ কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সময়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ। পিছিয়ে নেই উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া দিল্লিও। তাই তড়িঘড়ি পুলিশকর্মীদের সাসপেন্ড করে রোষ কমানোর চেষ্টা করল উত্তরপ্রদেশ সরকার।

(দেশের সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)