শ্রীনগরে তুষারধসে নিখোঁজ ১০, প্রবল শিলাবৃষ্টি দিল্লি-নয়ডায়

শ্রীনগরে তুষারধসে নিখোঁজ ১০বৃহস্পতিবার হিল স্টেশনের রূপ নিয়েছিল নয়ডা। ছবি: টুইটার

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক:  শ্রীনগরে তুষারধসে নিখোঁজ ১০, একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশের মুখ ছিল ভার। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই শুরু হল বৃষ্টি। সঙ্গে শিলা। নয়ডা অঞ্চলে এতটাই শিলাবৃষ্টি হল যে সাদা হয়ে গেল গোটা এলাকা। যা দেখে মনেই হতে পারে বরফের চাদরে ঢেকে গিয়েছে দিল্লি সংলগ্ন অঞ্চল। সন্ধে ছ’টার সময় দিল্লির পারদ নেমে যায় ১৭ ডিগ্রিতে।

রাতের দিকে তা আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শীত চলে যাওয়ার সময় আবারও ফিরে এসেছে শীত। যার জেরে ২৩টি অন্তর্দেশীয় বিমান ও ন’টি আন্তর্জাতিক বিমানের রাস্তা বদল করতে বাধ্য হয়েছে দিল্লির এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যমুনা এক্সপ্রেস ওয়ে পুরো বরফে (শীলা) ঢেকে গিয়েছে। এই বৃষ্টির মধ্যেও দিল্লি শহরের আদ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। আগামী কয়েক দিন দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আখাস মেঘলা থাকবে। বিমানের সঙ্গে সঙ্গে দিল্লিগামী ১৬টি ট্রেনও দেরিতে চলছে দু’ঘণ্টা থেকে ছ’ঘণ্টা পর্যন্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে প্রায় এক মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে।

সিকিম বেড়াতে গিয়ে বরফে আটকে ৩ হাজার পর্যটক, উদ্ধার করল সেনাবাহিনী

উত্তর ভারতের পাহাড়ী অঞ্চলে এ দিন প্রবল বৃষ্টি ও তুষারপাত হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দিল্লিতে। শ্রীনগরের কুলগাম জেলায় তুষার ধসে ১০জন এখনও নিখোঁজ। জওহর টানেলের কাছে শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কের উপর এই তুষার ধস নামে।

তুষার ধসে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ১০ জনের মধ্যে রয়েছেন ছ’জন পুলিশকর্মী, দু’জন দমকলকর্মী ও দু’জন সাধারণ মানুষ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তুষার ধস নেমেছে জওহর টানেলের উত্তর প্রান্তে। যখন ধস নামে তখন সেখানের পুলিশ পোস্টে ২০ জন পুলিশ ছিলেন। তার মধ্যে ১০ জন্য প্রাণ বাঁচিয়ে বেরিয়ে আসতে পেড়েছিলেন। তার পরই শুরু হয়ে যায় উদ্ধারকাজ।

খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের উদ্ধারকারী দল পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। দিনের শুরুতেই ধসপ্রবন এলাকা থেকে ৭৮টি পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মীরের ২২টির মধ্যে ১৬টি জেলাতেই প্রবল ধসের সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বলে জানা গিয়েছে। টানা তুষারপাতে গত দু’দিন ধরে শ্রীনগরের সঙ্গে বাইরের জগতের সব সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

শ্রীনগর জাতীয় সরক, বিমান পরিষেবা সব বন্ধ রয়েছে। বেশিরভাগ জায়গায় নেই বিদ্যুৎ। যা দ্রুত ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

(দেশের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)