জম্মুতে জঙ্গি হামলা, বাসস্ট্যান্ডে গ্রেনেড বিস্ফোরণে মৃত ১, আহত ৩২

জম্মুতে জঙ্গি হামলাজম্মু বাসস্ট্যান্ডে পুলিশ কুকুর নিয়ে চলছে তদন্তের কাজ।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: জম্মুতে জঙ্গি হামলা, ফের রক্তাক্ত হল উপত্যকা। পুলওয়ামায় জঙ্গি হানা এবং নাশকতার ২০ দিন পর ফের জম্মুতে জঙ্গি হামলা হল বৃহস্পতিবার। এ দিন সকাল পৌনে ১২টা নাগাদ জম্মু জেনারেল বাসস্ট্যান্ডে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় এক কিশোর মারা গিয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৩২ জন।

ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইয়াসিন ভাট নামে এক ব্যক্তিতে গ্রেফতার করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। তাদের দাবি, জেরায় ধৃত ইয়াসিন ভাট গ্রেনেড ছোড়ার কথা স্বীকার করেছে। পাশাপাশি সে যে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, এ কথাও জানিয়েছে। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের আইজি এম কে সিংহ বলেন, ‘‘বিস্ফোরণে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৩২। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হামলায় জড়িত সন্দেহে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’’

যে জেনারেল বাসস্ট্যান্ডে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, সেখানে সর্ব ক্ষণ ভিড়ভাট্টা লেগেই থাকে। কারণ, ওই বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন রাজ্যে যাওয়ার প্রচুর বাস ছাড়ে। তবে এ দিন সকালে বাসস্ট্যান্ডে ভিড় কম ছিল বলেই জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা আরও জানান, হঠাৎই একটি টিকিট কাউন্টারের সামনে গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয়।

প্রাথমিক ভাবে সকলে ভেবেছিলেন কোনও বাসের টায়ার ফেটেছে। কিন্তু, আহতদের ও ভাবে ছিটকে যেতে দেখে সকলে বুঝতে পারেন, জঙ্গি হামলা হয়েছে। আহতদের সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মারা যায় মহম্মদ শারিক (১৭)। আহত ৩২ জনের মধ্যে কাশ্মীরি বিহারি এবং ছত্তীসগঢ়ি রয়েছেন। এ দিন এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ‘‘মারাত্মক শব্দে কেঁপে ওঠে বাসস্ট্যান্ড। ভেবেছিলাম টায়ার ফাটার শব্দ। পরে বুঝলাম বিস্ফোরণ হয়েছে।’’

ভিড় বাসস্ট্যান্ডকে ইচ্ছে করেই টার্গেটস্থল বানানো হয়েছে বলেই দাবি পুলিশের। শুধু তাই নয়, জম্মুকে টার্গেট বানানোরও একটা উদ্দেশ্য রয়েছে জঙ্গিদের। এর আগে গত বছরের মে-তে এই বাসস্ট্যান্ডেই গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছিলেন দু’জন পুলিশ কর্মী। তার ঠিক সাত মাস পর গত ডিসেম্বরে বাসস্ট্যান্ডের কাছে থানা লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়েছিল জঙ্গিরা। বার বার কেন এই বাসস্ট্যান্ডকেই লক্ষ্য করে আক্রমণ শানাচ্ছে জঙ্গিরা, সে প্রশ্নও উঠছে।

পুলিশের ব্যাখ্যা, উপত্যকা অশান্ত রাখতে জম্মুতেও আক্রমণ করতে চায় জঙ্গিরা। আর এই বাসস্ট্যান্ডটি একেবারে শহরের মধ্যিখানে। সে কারণেই টার্গেট হিসাবে এই বাসস্ট্যান্ড জঙ্গিদের অত্যন্ত ‘পছন্দ’।

রাফাল চুক্তির ফাইল চুরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকেই, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)