ইয়েতির পায়ের ছাপ খুঁজে পেল ভারতীয় সেনা, মাকালু অভিযানের ছবি নিয়ে প্রশ্ন

ইয়েতির পায়ের ছাপইয়েতির পায়ের ছাপ, সেনার টুইট থেকে নেওয়া ছবি।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ইয়েতির পায়ের ছাপ মিলল হিমালয়ে! আর সেই পদচিহ্ন খুঁজে পেল ভারতীয় সেনা। মাকালু পর্বতশৃঙ্গ অভিযানে গিয়ে বরফের উপর কিছু বিশালাকৃতির ছাপ দেখে, সেগুলি ইয়েতির পায়ের ছাপ বলে দাবি করে টুইট করে তারা। প্রশ্ন উঠেছে, সেনার তরফে কী করে এমন ভিত্তিহীন বক্তব্য পেশ করা সম্ভব!

ভারতীয় সেনাবাহিনীর মনে অবশ্য সন্দেহের জায়গা নেই। তাদের এক টুইটের ধাক্কায় ভোটের বাজারে এ বার ঢুকে পড়ল গল্পকথার তুষারমানব ইয়েতি! তারা দাবি করেছে, ইয়েতি সম্পর্কিত যাবতীয় ছবি ও ভিডিও খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশ্যে আনা হবে।

নিজেদের বক্তব্যের সপক্ষে ইতিমধ্যেই টুইটারে কিছু ছবি প্রকাশ করা হয় সেনাবাহিনীর তরফে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বরফের উপরে বেশ বড় বড় ছাপ পড়ে রয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে দেখে সেগুলো পায়ের ছাপ বলেই মনে হয়। যারই ছাপ হোক না কেন, সেগুলো একটা সোজা রেখায় এগিয়ে গিয়েছে। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে, বেশ কিছুটা তফাত অন্তর পড়েছে এক একটা ছাপ, বরফের উপর তৈরি হয়েছে ‘পদচিহ্ন’।

লম্বায় ৩২ ইঞ্চি। আর চওড়ায় ১৫ ইঞ্চির এক-একটা রহস্যজনক পদচিহ্ন! সেনার দাবি, গত ৯ এপ্রিল নেপালে মাকালু বেস ক্যাম্পের কাছে এই পায়ের ছাপ দেখেছে তারা। ওই টুইটে লেখা হয়েছে, মাকালুর এই বরুণ জাতীয় উদ্যানে এর আগেও ইয়েতির দেখা মিলেছে বলে শোনা যায়! কিন্তু সেটা যে ইয়েতি, জানা গেল কী ভাবে? প্রশ্নটা সেখানেই।

নামের একটি কাল্পনিক প্রাণীকে নিয়ে জল্পনার শেষ নেই বহু বছর ধরেই। শোনা যায়, হিমালয়ের গহিন তুষাররাজ্যে একা ঘুরে বেড়ায় বিশাল এক দৈত্যাকৃতি প্রাণী। টিনটিনের গল্প থেকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকাবাবু-সন্তুকে নিয়ে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সিনেমা— বার বার এই ইয়েতি এলেও, এখনও পর্যন্ত কেউ তাকে নিজের চোখে দেখেছে, এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে নেপাল বা তিব্বতের পাহাড়ি গ্রাম, শেরপাদের বসতিগুলোর বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন ইয়েতির অস্তিত্বের কথা। আধুনিক শেরপারা অবশ্য এমনটা আর বিশ্বাস করেন না।

সেনা ইয়েতি নিয়ে যাই দাবি করুক না কেন, ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সোশ্যাল দুনিয়ায় মজা চলছে। বাহিনী যে ছবি পোস্ট করেছে, তাতে বিশাল আকারের পায়ের ছাপ দেখা যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সবই একটা পায়ের। বাকি পা কোথায় গেল? এ সব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেউ কেউ আবার নিন্দা করে লিখেছেন, কোনও বিশেষজ্ঞের মতামত না নিয়ে এ রকম একটা পোস্ট করা মোটেই উচিত হয়নি সেনা বাহিনীর।

দেশের আরও খবরের জন্য এখানে ক্লিক করুন

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)