ফের এক বার মোদী সরকার গড়তে চলেছেন দিল্লিতে, বিজেপি একাই ৩০০ পার

ফের এক বার মোদী সরকারফের এক বার মোদী সরকার

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ফের এক বার মোদী সরকার এমনটাই স্লোগান তুলেছিলেন তিনি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী সভায় গিয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সেনাপতি এই আওয়াজই তুলতেন, ফের এক বার মোদী সরকার…।

এ বার সেই নরেন্দ্র মোদীর হাতেই হাতেই দেশের ভার দিল জনতা। বৃহস্পতিবার ভোটগণনায় স্পষ্ট হয়ে গেল দ্বিতীয় বারের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠন করছে টিম মোদী। দেশের ইতিহাসে নরেন্দ্র মোদী তৃতীয় ব্যক্তি, যিনি পর পর দু’বার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী হবেন। এর আগে কংগ্রেসের জওহরলাল নেহরু পর পর তিন বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৯৬৭ এবং ১৯৭২ সালে পর পর দু’বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ইন্দিরা গাঁধী। এ দু’বারও একাই ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে গিয়েছিল কংগ্রেস।

এ দিন ভোটের ফল প্রকাশ্যে আসতেই দেখা গেল, দেশ জুড়ে ফের গেরুয়া ঝড়। আর সেই ঝড়ে বেসামাল হিন্দি বলয় থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার-ওড়িশা, এমনকি উত্তর-পূর্বও। একক ভাবে বিজেপি আগের বারের ২৮২ টপকে গিয়েছে। ৩০০ আসন পারও করে ফেলে। উল্টো দিকে বিরোধী শিবিরে শুধুই হতাশা। ভোট গণনার স্পষ্ট, কংগ্রেসের আসন সংখ্যা বাড়লেও সরকার গঠনের ধারেকাছে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই ইউপিএ জোটের। চন্দ্রবাবু নায়ডু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়বতী-অখিলেশরা যে জোট গড়ার চেষ্টায় ছিলেন, নিজেদের রাজ্যেই শোচনীয় ফল তাঁদের। পশ্চিমবঙ্গে এক ধাক্কায় আসন বাড়ছে বিজেপির। অন্ধ্রপ্রদেশে ব্যাপক উত্থান ওয়াইএসআরসিপির।

বিরোধীদের কাছে কার্যত তুরুপের তাস ছিল উত্তরপ্রদেশ। কারণ, আসন সংখ্যার নিরিখে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় এই রাজ্যে দীর্ঘ দিন বাদে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি বিএসপি এবং এসপি এক হয়ে ভোটে লড়েছে। সঙ্গে ছিল অজিত সিংহের আরএলডি-ও। কিন্তু তাতেও ফল আশানুরূপ নয়।

বিরোধী মহাজোটের নেতৃত্ব দেওয়া চন্দ্রবাবু নায়ডু নিজের রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশেই কার্যত ধরাশায়ী। ভোটের ফলের প্রবণতায় রাজ্যের ২৫ আসনের মধ্যে ২০টিরও বেশি আসনে জিতেছেন জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস।

বিরোধী জোটের অন্যতম মুখ পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ রাজ্যে ব্যাপক আসন কমছে তৃণমূলের। সেই জায়গায় উঠে এসেছে বিজেপি। বিজেপি ১৮টি আস‌ন পেয়েছে। সে জায়গায় তৃণমূল গত বারের থেকে ১২টি আসন কম পেয়েছে ২২-এ থমকে গিয়েছে। কংগ্রেস ২টি আসন পেলেও সিপিএম এ রাজ্যে তাদের খাতা খুলতে পারেনি। উল্টে ৩৯টি আসনে তাদের প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)