কৃষক আন্দোলন এবার সীমান্ত ছেড়ে পৌঁছে গেল দিল্লিতে, প্রজাতন্ত্র দিবসে চলল তাণ্ডব

কৃষক আন্দোলন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কৃষক আন্দোলন কখনও চরম তো কখনও শান্ত, এভাবেই চলছিল দীর্ঘদিন, তবে সবটাই চলছিল সীমান্তে। রাজধানীতে সেই আন্দোলনের রেশ পৌঁছলেও তা এই আকাড় নেয়নি এতদিন যা ঘটল প্রজাতন্ত্র দিবসে। আগে থেকেই ঘোষণা করা হয়েছিল এদিন কৃষকদের র‍্যালি দিল্লিতে পৌঁছবে। সকাল থেকেই কৃষকদের সীমান্ত পেরিয়ে দিল্লিতে ঢোকার খবর আসছিল। বেলা বাড়তেই তা ভয়ঙ্কর আকার নিল। প্রান বাঁচাতে পালাতে হল পুলিশকেও।

ঠিক কী কী ঘটেছে এদিন কৃষক আন্দোলন -কে ঘিরে একবার দেখে নেওয়া যাক…

গত নভেম্বর থেকেই সীমান্তে হাজির হতে থাকেন প্রতিবাদী কৃষকরা। যার সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। হাজার হাজার কৃষক ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন যান নিয়ে সেখানেই কাটাচ্ছেন দিন-রাত। দিল্লির ঠান্ডাও তাঁদের প্রতিহত করতে পারেনি। কখনও দূর্ঘটনা আবার কখনও অসুস্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন কৃষকের। সরকার পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার কথাও বলা হয় কৃষকদের সঙ্গে কিন্তু তাতে লাভ কিছু হয়নি। এদিন সেই আন্দোলন আছঁড়ে পড়ল দিল্লির বুকে।

কৃষকদের ট্রাক্টর র‍্যালির সৌজন্যে হিংসা ছড়িয়ে পড়ল দিল্লিতে। পরিকল্পনা মতো তাদের র‍্যালি যাওয়ার কথা ছিল না লালকেল্লায়। কিন্তু হল উল্টোটাই। র‍্যালি সটান পৌঁছে গেল লালকেল্লায়। ভাঙা হল পুলিশের ব্যারিকেড। শুরু হল পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। চলে কাঁদানে গ্যাস, লাঠি। আর সেই সুযোগেই আন্দোলনকীরদের একটি দল পৌঁছে যায় লালকেল্লায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় পুরোপুরি।

পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং, আন্দোলনকারীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান এবং তাঁদের ফিরে যেতে বলে সীমান্তে। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে দিল্লি পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে। এর ফলে দায়ের হয়েছে ১৫টি মামলা। আহত হয়েছেন ৮৬ জন পুলিশকর্মী। জ্বালানো হয়েছে আটটি বাস ও ১৭টি প্রাইভেট গাড়ি।

আবার এদিনই কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটির। যা এই আন্দোলনের জন্য আর সম্ভব হয়নি। ২৯ জানুয়ারী নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এখানেই বেঁধেছে গোল। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটির সদস্যরা আদৌ কৃষকদের সমস্যা বুঝবেন কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। চারজন সদস্যই অতীতে মোদী সরকারের পক্ষে মুখ খুলেছেন এমনকি কৃষি আইনের প্রশংসাও করেছেন। ইতিমধ্যেই এই প্রশ্নের মুখে পড়ে এক সদস্য সরে দাঁড়িয়েছেন কমিটি থেকে।

(দেশের সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)