বুথফেরত সমীক্ষা বলছে কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় আসতে পারে মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ, রাজ্যে কমছে তৃণমূলের আসন

বুথফেরত সমীক্ষাবুথফেরত সমীক্ষা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বুথফেরত সমীক্ষা প্রকাশ্যে এল সাত দফার ভোট মিটতেই। রবিবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে আসা প্রায় সব ক’টি সমীক্ষাই ইঙ্গিত দিচ্ছে শরিক দলগুলিকে নিয়ে কেন্দ্রে ফের সরকার গড়বেন নরেন্দ্র মোদী।

তবে সেই সমীক্ষা প্রকাশ্যে আসার পরেই রাজনৈতিক মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, বুথফেরত সমীক্ষা অতীতে সব সময় মিলেছে এমন নয়। যে পদ্ধতিতে বুথফেরত সমীক্ষা করা হয়, তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। চূড়ান্ত ফলের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই বুথফেরত সমীক্ষা মেলেনি। আবার বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে মিলেওছে। তবে এই ধরনের সমীক্ষায় ভোটারদের মনের একটা আভাস মেলে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত।

দেশে মোট ৫৪৩টি লোকসভা আসন। তার মধ্যে ভোট হয়েছে ৫৪২টিতে। মোট আসন ধরলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন। এ দিন সন্ধ্যায় এবিপি নিউজ যে নিয়েলসেনের সমীক্ষা প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রে এনডিএ ২৭৭টি আসন পেতে পারে। ইউপিএ পেতে পারে ১৩০টি এবং অন্যরা পেতে পারে ১৩৫টি আসন। আবার ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস পোলের সমীক্ষা এনডিএ-কে ৩৩৯ থেকে ৩৬৫টি আসন দিয়েছে। ওই সমীক্ষার মতে ইউপিএ পেতে পারে ৭৭ থেকে ১০৮টি আসন।

সব ক’টি সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় ও রাজস্থানের মতো যে তিন রাজ্যে সম্প্রতি ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস, সেখানে বিজেপির আসন সংখ্যা বাড়তে পারে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে বেশির ভাগ আসনই ধরে রাখতে পারছে বিজেপি। আর কর্নাটক ছাড়া দক্ষিণের অন্য কোনও রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের আসন সংখ্যা বাড়ছে না। উত্তরপ্রদেশে যে ক্ষতির কথা বলা হচ্ছে, তা পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশার মতো পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি থেকে মেরামতের সম্ভাবনা থাকছে।

এ রাজ্যের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, লোকসভায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেশ কিছু কমতে চলেছে। বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষায় তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। রাজ্যে বিজেপির আসন  যথেষ্ট বৃদ্ধির লক্ষণও সেখানে স্পষ্ট। গত বারের থেকেও কমতে পারে কংগ্রেসের আসন। বাম সম্ভবত একটিও পাবে না। এমনটাই বলা হয়েছে বুথফেরত সমীক্ষাগুলিতে। এবিপি নিউজ-নিয়েলসেনের সমীক্ষা অনুযায়ী, তৃণমূল পেতে পারে ২৪টি আসন। বিজেপি ১৬ টি। কংগ্রেস গতবারের চারটি আসন থেকে কমে দুটি আসন পেতে পারে। তবে বামকে এই সমীক্ষা একটি আসনও দেয়নি।

এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এই সব সমীক্ষাকে নস্যাৎ করে বলেন, ‘‘মিথ্যাকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং বিরোধী-জোট যাতে সক্রিয় হতে না পারে, সে জন্য এই ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বিজেপি হারছেই।’’