ভূমিকম্প, কোকরাঝাড় থেকে কম্পনের রেশ ছড়িয়ে পড়ল চার রাজ্যে

হাইতি কেঁপে উঠল

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ভূমিকম্প , বুধবার সকালে হঠাৎই কেঁপে উঠল শহর। তখন ব্যস্ত অফিসের সময়। সরকারি চাকুরেরা ততক্ষণে ঢুকে পড়েছেন অফিসে। গুছিয়ে বসার আগেই কেঁপে উঠল চেয়ার টেবল। আতঙ্কে অফিসপাড়া নেমে এল রাস্তায়। কলকাতায় খুব অল্প সময়ই কম্পন অনুভূত হয়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর ভূমিকম্পের কথা মেনে নিয়েছে। তবে যাঁরা রাস্তায় ছিলেন তাঁদের অনেকেই এই কম্পন টের পাননি। কারণ মাত্রা ছিল খুবই কম। মাত্র কয়েক সেকেন্ডই এ রাজ্যে কম্পন হয়।

ভূমিকম্পর উৎস স্থল হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে অসমের কোকরাঝাড়কে। কোকরাঝাড়ের সপতগ্রাম থেকে সাত কিলোমিটার দুরে ছিল কম্পনের এপি সেন্টার। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৩। ভারতীয় সময় সকাল ১০টা বেজে ২০মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে হয় ভূমিকম্প। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৩ কিলোমিটার গভীরে কম্পনেরর উৎসস্থল বলে জানা গিয়েছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি এর প্রভাব অল্পবিস্তর পড়েছে বাংলাদেশ ও ভুটানে।

অসম উৎস স্থল হওয়ায় প্রভাব পড়েছে প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে। বাংলার বিভিন্ন জেলায় এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। কলকাতা ও কলকাতার আশপাশের পাসের জেলায় তেমন না হলেও উত্তরবঙ্গে বেশিক্ষণ স্থানীয় হয়েছে কম্পন। অসমের কাছে হওয়ায় ভূমিকম্পের রেশ পড়েছে সিকিমেও। বিহারও কেঁপে ওঠে সেই সময়। পাহাড় অঞ্চলে সব থেকে বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে। যেমন দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, গ্যাংটকের তো জায়গায় ভ্রমনার্থী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই নেমে এসেছিল রাস্তায়।

দেশের সব থেকে বড় বাস দূর্ঘটনা

এ ছাড়া কোচবিহার, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়িতে কলকাতার তুলনায় কম্পনের স্থায়ীত্ব ছিল বেশি। যদিও কম্পনের মাত্রা কম থাকায় ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর এখনও পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, বুধবার সকাল ৫.৪৩ নাগাদ কেঁপে ওঠে হরিয়ানার বিস্তির্ণ অঞ্চল। এক্ষেত্রেও কম্পনের মাত্রা ছিল খুবই সামান্য। রিখটার স্কেলে ৩.১। এর এপি সেন্টার চিহ্ণিত করা হয়েছে ঝাঝরকে। এই নিয়ে গত তিন দিনে তিনবার কেঁপে উঠল ওই অঞ্চল।  জম্মু-কাশ্মীরেও কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।