দিল্লি বায়ু দূষণ ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছনোয় বন্ধ করা হল স্কুল, সাবধানবাণী সাধারণ মানুষের জন্য

দিল্লি বায়ু দূষণদিল্লি বায়ু দূষণ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দিল্লি বায়ু দূষণ ঘিরে তোলপাড় গোটা দেশ। দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুক্রবার জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ দিল্লির অবস্থা এতটাই খারাপ যে মানুষের শরীরের উপর তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। দীপাবলির পর থেকেই বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে রাজধানী শহর। সঙ্গে গুরগাও ও নয়ডা।

তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। জানুয়ারির পর আবার বৃহস্পতিবার গভীরাত থেকে দিল্লির দূষণের মনাত্রা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে যায়। যার ফলে বন্ধ করা হয়েছে সব নির্মার কাজও। নিষেধাজ্ঞা আগেই জারি করা হয়েছিল বাজির উপর।

এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন…

মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল আজ ছাত্রছাত্রীদের মাস্ক বিতরণের সময় এই শহরকে “গ্যাস চেম্বার” আখ্যা দিয়েছেন। তিনি প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানা ও পঞ্জাবকেও এই দূষণের জন্য দায়ী করেছেন।

কারণ বছরের এই সময়টিতে হাজার হাজার কৃষক উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুরে ফসল জ্বালানোর কাজ করে। যার ফলে ধুয়োয় ঢেকে যায় গোটা রাজ্য। সেটাই উড়ে এসে দিল্লির পরিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছে।

জানানো হয়েছে, বায়ু দূষণের পরিমাণ ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় এই পর্যায়ে থাকলে, শহরের রাস্তায় গাড়ি চলালচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শহরে ট্রাকের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হবে। ইপিসিএ চেয়ারপারসন ভুরে লাল বলেছিলেন, ‘‘জনগণকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে দূষণের মাত্রা না কমা পর্যন্ত শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থ মানুষদের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। এটি একটি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি এবং আমি আপনাদের ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের আশা করছি যাতে সব নির্দেশাবলী মেনে চলেন আপনারা।’’

কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভারেকার কেজরিওয়ালকে রাজ্যের ক্রমবর্ধমান দূষণের মাত্রার জন্য জায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, পঞ্জাব এবং হরিয়ানাকে দোষ দেওয়া সমস্যার কোনও সমাধান নয়। ‘‘পঞ্জাব ও হরিয়ানাকে দোষারোপ করার পরিবর্তে তিনি (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র) মোদী-জি-র কথা মেনে দিল্লির দূষণ কমানো উচিৎ ছিল।’’

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)