দিল্লি দূষণ: চিন্তায় কেজরিওয়াল সরকার, বাকি এখনও দিওয়ালি

ধোঁয়ায় ঢেকেছে দিল্লিধোঁয়ায় ঢেকেছে দিল্লি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দিল্লি দূষণ প্রতিবছর এই সময় সব থেকে বেশি মাত্রায় পৌঁছয়। যা নিয়ে অনেক আগে থেকেই নানা কর্মসূচি নেয় সরকার কিন্তু তাতে বিশেষ কোনও লাভ হয় না। তার উপর এই একই সময়ে থাকে দিওয়ালি। গোটা দেশ দিওয়ালি পালন করে বাজি ফাটিয়ে। যদিও এই বছর প্রায় সব রাজ্যই বাজি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার বাজি নিষিদ্ধ করেছে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারও। কিন্তু তার আগেই দূষণে ঢেকে গিয়েছে দিল্লির বিস্তির্ণ অঞ্চল। যা নিয়ন্ত্রণ করে উঠতে পারেনি সরকার।

এদিন মরসুমের সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি। দৃশ্যমানতা দিনের বেলাতেও ছিল খুব কম। সকাল থেকেই বাইরে দেখলে মনে হবে মেঘ করে রয়েছে, দিল্লি দূষণ এই পর্যায়ে পৌঁছেছে। সঙ্গে চোখ জ্বালা। সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের মত অনুযায়ী শুক্রবার এখনও পর্যন্ত সব থেকে খারাপ মাত্রায় পৌঁছেছে দূষণ।

জানানো হয়েছে, আনন্দ বিহারে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৪২২, আরকে পুরমে ৪০৭, দোয়ারকার সেক্টর ৮-এ ৪২১ এবং বাওয়ানাতে ৪৩০। আইটিও-তে যা সর্বোচ্চ ৪৪৮। সবগুলোই নিয়ন্ত্রণের অনেক বাইরে। গুরগাওয়ে এদিন ভয়ঙ্কর আকাড় নেয় দূষণের মাত্রা। নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, গাজিয়াবাদ, ফরিদাবাদের মতো জায়গায় বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে।

প্রতি বছর এই সময় দিল্লির প্রতিবেশি রাজ্য পঞ্জাব ও হরিয়ানায় শুকনো ফসল জ্বালানো হয় জমির পর জমি। যেখান থেকে তৈরি হয় দুয়ো। সেই ধুয়ো হাওয়ার দাপটে ঢেকে ফেলে গোটা দিল্লি ও দিল্লি সংলগ্ন অঞ্চলকে। তার মধ্যে এই সময় শীতও ঢুকে পরে এই সব অঞ্চলে সঙ্গে দিওয়ালির সেলিব্রেশন, সব মিলে পরিস্থিতি প্রতিবারই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। বিশেষ করে মানুষের শরীরের উপর এর প্রভাব পড়বে। যাঁরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রোগে ভুগছেন তাঁদের উপর অনেকবেশি প্রভাব ফেলবে। তার মধ্যে দিল্লিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। যা রীতিমতো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। এই অবস্থায় কেরজিওয়াল সরকারকে আরও বেশি আইসিইউ বেড বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

সব মিলে রীতিমতো সমস্যায় দিল্লি স্বাস্থ্য। এখান থেকে বেরিয়ে সুস্থ পরিবেশের অপেক্ষায় দিল্লির মানুষ।

(দেশের সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)