দিল্লিতে ডাক্তারদের উপর হামলা, মহারাষ্ট্রে একদিনে রেকর্ড মৃত্যু

দিল্লিতে ডাক্তারদের উপর হামলা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দিল্লিতে ডাক্তারদের উপর হামলা যখন রাজধানীতে করোনায় মৃত্যু নিয়ে গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত। সেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই মৃতের পরিবারের হাতে আক্রান্ত ডাক্তাররা। ৬৭ বছরের এক মহিলার মৃত্যু হয় এদিন কারণ হাসপাতালে আইসিইউ বেড ছিল না। যে কারণে যথোপযুক্ত পরিষেবা তাঁকে দেওয়া সম্ভব হয়নি। সকাল ৮-১০টার মধ্যে ঘটে এই ঘটনা অ্যাপোলে হাসপাতালের বাইরে। এক ঘণ্টা পর সেখানে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গিয়েছে হাসপাতালের কর্মী এবং বেশ কয়েকজন ডাক্তার আহত হয়েছেন।

দেশ জুড়ে মেডিক্যাল স্টাফদের ছুটি বাতিল করে ফিরিয়ে আনা হয়েছে হাসপাতালে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ যেভাবে আছড়ে পড়েছে তাতে হাসপাতালগুলোতে ঠাই মিলছে না। এমন অবস্থায় ডাক্তারদের প্রয়োজনীয়তাও বেড়ে গিয়েছে। দিন-রাত এক করে মানুষের সেবা করছেন তাঁরাই। ডাক্তার, নার্স, হাসপাতালকর্মীরা লড়াই করে চলেছে। কিন্তু দেশের পরিকাঠামো সেই পর্যায়ের নেই যাতে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সহজেই সামলে নেওয়া যায়। যার ফল অক্সিজেনের ঘাটতি, ওষুধের কালো বাজারি, বেডের জন্য হাহাকার চলছে।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সকাল ৯টা নাগাদ আমাদের কাছে ফোন আসে এবং সেখানে পৌঁছে জানতে পারি একজন বয়স্ক মহিলার সেখানে মৃত্যু হয়েছে। তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে কোনও কারণে বিতর্ক বেধে যায়। কিন্তু হাসপাতাল বা পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। হাসপাতালের তরপে বলা হয়, রোগীর আত্মীয়রা ক্ষেপে উঠেছিল। এমনটা হয় কারও মৃত্যু হলে। সেই গন্ডোগোলের ভিডিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে।

গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কম হলেও মহারাষ্ট্র আবার রেকর্ডে। এদিন নতুন করে সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬,৩৫৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮৯৫ জনের, যেটা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। রবিবারই কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল মহারাষ্ট্রের আক্রান্তের সংখ্যা, নেমে এসেছিল ৪৮,৭০০-তে। মহারাষ্ট্রে এখন মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬,৭২,৪৩৪-এ। নাসিক (১১,৩৬৫), পুণে (৯,০৭৮), নাগপুর (৬,৮৯৫), মুম্বই (৪,০১৪) এবং ঔরঙ্গাবাদ (১,৪৬৮) সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত।

একইদিনে মিরাটে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে ৭ জন কোভিড রোগীর। দুই হাসপাতাল মিলে  পরিসংখ্যানটা অনেকটা এই রকমই। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বার বার জানাচ্ছেন রাজ্যে অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি নেই। তবে জানা যাচ্ছে হাসপাতালগুলোর তরফে রোগীর পরিবারকেই বলা হচ্ছে অক্সিজেন জোগার করতে। যদিও সেখানকার হাসপাতালের ডাক্তাররা বলছেন, এটা রোজকার সমস্যা।

এদিকে কুম্ভমেলার শাহীস্নান শেষে বুধবার থেকে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে। এত কাণ্ডের পরও যে কুম্ভমেলা বন্ধ করা যায়নি এটা তারই প্রমান। কুম্ভমেলা নিয়ে বিতর্ক এবং প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনুরোধ করেছিলেন, কুম্ভমেলাকে প্রতীকী করা হোক। কিন্তু শেষ দিনের শাহীস্নান তার কোনও প্রভাব দেখা গেল না। সোমবার উত্তরাখণ্ডে  কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিল ৫০০০-এর বেশি। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯,০০০।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)